বিজ্ঞাপন

ধসে পড়তে পারে ওয়াহেদ ম্যানসন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

February 21, 2019 | 6:10 am

।। সারাবাংলা টিম ।।

বিজ্ঞাপন

চকবাজার থেকে: ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে দাবি করার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে আগুন। নতুন করে তিনটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।

ভবনটির ভেতর থেকে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার করে আনছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।  তাদের তালিকা অনুয়ায়ী, এখন পর্যন্ত ৬৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কাজী নজমুস জামান।

আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে চকবাজারের আগুন, নিয়ন্ত্রণে যোগ দিলো বিমান বাহিনী

বিজ্ঞাপন

এদিকে ওয়াহেদ ম্যানসন ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান বলেন, পুরো ভবনটি পুড়ে টেম্পারিং নষ্ট হয়ে গেছে। ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মাইকিং করা হয়েছে, সবাই যেন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। সাধারণত কোনো ভবন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা জ্বললে ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এখানে কেমিক্যাল থাকায় আগুনের তাপ বেশি ছিল। দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে আমাদের শত শত ফায়ার কর্মী কাজ করছে। এছাড়া তিতাস, রেডক্রিসেন্ট, বিমান বাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা সহায়তা করছে। আরও রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করার পরে ডালপট্টি রোডের ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে মালপত্র বের করতে দেখা যায়।

ভোর রাত ৫টা ৪৫ মিনিটে সর্বোশেষ অবস্থা বর্ণনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। তবে আগুন আমাদের ব্র্যাকেটের মধ্যে রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৫৮টি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। আমাদের কর্মীরা তৎপর রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের বিপর্যয় রোধ করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেমিক্যাল গুদাম করা হয়েছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। যিনি এই গুদামের মালিক, তিনি হয়তো থাকেন গুলশানে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারা যায় সাধারণ মানুষ। আবাসিক এলাকায় এই ধরনের কোনো কোম্পানি যেন থাকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কিন্তু এগুলো অনুমোদন দেয় না, যারা দেয় তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার রাস্তাও তৈরি করে না। আজ আমরা আধুনিক একটি গাড়িও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করতে পারিনি। যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে কী হবে?

যে পাঁচটি ভবনে আগুন লেগেছে প্রতিটিতে কেমিক্যাল মজুদ করা হয়েছে। ফলে বারবার আগুন জ্বলে উঠছে, নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যাচ্ছে না। এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য যে পরিমাণ পানির দরকার, তা পাওয়া যাচ্ছে না। এর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না, বলেন শাকিল নেওয়াজ।

আরও পড়ুন: ‘বিকট শব্দ শোনা যায়, এরপরই জ্বলে ওঠে দাউ দাউ আগুন’

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন