December 22, 2018 | 4:34 pm
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ, স্টাফ করেপন্ডেন্ট ।।
প্রত্যাশা খুব আপেক্ষিক একটি বিষয়। এর আগে আমি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি তখন খুব ভালোভাবে প্রচার করা হয়েছিল। অ্যাকশনের দিক থেকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ বাংলাদেশকে নতুন কিছু দিয়েছে। ‘স্বপ্নের ঘর’ ছবিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ভৌতিক ঘরানার নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সিনেমাটি নিয়ে আমার প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ হয়নি। তবে সামনে যে হবে না সেটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ দেশে এখন নির্বাচন চলছে। তাই মানুষের মনোযোগ নির্বাচনের দিকে। এরপর আমাদের ছবিটিকে আরও বড় পরিসরে মুক্তি দেয়া হবে। আমি মনে করি তখন আরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রতিটি সিনেমাই একজন অভিনেত্রীকে নতুনভাবে জন্ম দেয়। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তাই। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে অভিনয়ের তিন বছর পর আমার নতুন কোন সিনেমা মুক্তি পেলো। এই ছবিতে অভিনয় করার সময় আমার একটা কথাই মাথায় ছিলো-আমি যেন একই ধরনের চরিত্রের পুনরাবৃত্তি না করি। এখানে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটাকে আপনি পজেটিভ বলতে পারবেন না, আবার নেগেটিভ বলতে পারবেন না। পুরো সিনেমা জুড়ে চরিত্রটি দোদুল্যমান জায়গায় অবস্থান করে। আমি এর আগে কখনো এরকম চরিত্রে অভিনয় করিনি, যে কিনা ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চা করে। অন্ধকারে থাকে। খুব কম কথা বলে। এই চরিত্র কিন্তু আমাদের চারপাশে দেখি না। দেখে যে কোন ধারণা নিবো সেটার কোন উপায় ছিল না। তাই চরিত্রটি করা আমার জন্য একটু কঠিন ছিল।
নতুন জন্ম হচ্ছে আমার। আমি একেবারে শিশু এখন। গুটি গুটি পায়ে এখন হামাগুড়ি দিচ্ছি। এই ফিল্মটি (স্বপ্নের ঘর) আমার হামাগুড়ি পর্ব। এরপর আস্তে আস্তে হাঁটতে শিখব।
আমি সবসময় মানুষের ভালোবাসা পেয়ে এসেছি। আমাকে নিয়ে এমন কোন ধারণা জন্ম নেয়নি বলে মনে করি। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকটি ঘটনা মানুষকে নতুন কিছু শিক্ষা দেয়। আমি সেরকম নতুনভাবে জীবনকে দেখছি। সেই সাথে পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনা হচ্ছি।
জীবন প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। জীবনের ধর্মই তো বদলানো। নিজেকে বদলে নিজের একটি ভিন্ন সংস্করণ করতে চাই। সেই সংস্করণে মানুষ ভিন্ন এক নওশাবাকে দেখতে পারবে।
বিশ্বাস করুন, আমি খুব ভাগ্যবতী। কারণ আমি যাদের সাহায্য প্রত্যাশা করেছি, তারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে। এমনকি ভক্তরাও পাশে ছিল। তারা এখনো আমার পাশে আছে। এবং সামনেও থাকবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর আমার তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে। সিনেমা তিনটি হলো- ‘চন্দ্রাবতী’। এটি পরিচালনা করেছেন এন রাশেদ চৌধুরী। দ্বিতীয়টি মিজানুর রহমান লাবু পরিচালিত ‘নাইনটি নাইন মেনশন’। এবং তৃতীয়টি ‘আলগা নোঙর’। এটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক।
এছাড়া আমি একটি খুব শিশুর মতো কাজ করে ফেলেছি। আমি পরিচালনায় দক্ষ নই। তবুও বন্ধুদের উৎসাহে একটি শর্টফিল্ম পরিচালনা করেছি। ওটার নাম হচ্ছে ‘আলোর খোঁজে’। আগামী বছর এপ্রিলে অনলাইনে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এটা আমাদের সবার পরিচিত গল্প। আপনি যখন শর্টফিল্মটি দেখবেন তখন মনে হবে এটি আপনারও গল্প। আসলে আমরা আলো বলতে টানেলের শেষ আলোটার কথা বুঝি।
এসব নিয়ে আর ভাবতে চাই না। মনে রাখতে চাই না পেছনের কিছু। পেছনে পড়ে থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় না। আমি শুধু বলব, এখন আমি আলোর দিকে এগোতে চাইছি।
ছবিঃ ইন্টারনেট
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম