বিজ্ঞাপন

দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজির সক্ষমতার অর্থায়নে কমিটি

December 26, 2017 | 10:39 pm

হাসান আজাদ, স্পেশাল করসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি (লিকুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) খাতে অর্থায়নের জন্য নয় সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করেছে সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই কমিটি গঠন চূড়ান্ত করা হয় বলে জানিয়েছে সূত্র। এ অর্থায়নের মধ্য দিয়ে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা নিশ্চিত করা হবে।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো: জাকির হোসেনকে। আর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ।

কমিটি এলএনজি খাতে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাব্য সোর্স নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থায়নের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ ও পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে সুপারিশ তৈরি করবে।

বিজ্ঞাপন

আগামী এক মাসের মধ্যে এ সুপারিশ দিতে বলা হয়ছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইআরডির যুগ্ন-সচিব আবদুল বাকী,অর্থ বিভাগের যুগ্ন সচিব মো: নাসির উদ্দিন আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ন সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, যুগ্নসচিব পদমর্যাদার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, পেট্রোবাংলার পরিচালক (অর্থ) তৌহিদ হাসানাত খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আজিজুর রহমান।

সরকার এরই মধ্যে বড় আকারে এলএনজি আমদানির দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর একটি করছে আমেরিকান কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। অন্যটি শীর্ষস্থানীয় দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ। প্রতিষ্ঠান দুটি দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি এনে তা ফের গ্যাসে রূপান্তরিত করে পাইপলাইনে সরবরাহ করবে। এর জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৈরি হচ্ছে ভাসমান টার্মিনাল বা এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট)।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে এক্সিলারেট এনার্জির ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে আগামি বছরের এপ্রিলে। সে অনুযায়ীই সব কাজ করছে কোম্পানিটি। এর পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ আগামি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে সরবরাহ শুরু হবে সামিটের ৫০ কোটি ঘনফুট।

পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর দেশে গ্যাসের দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে কম-বেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। আর ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি হিসেবে আমদানি হবে। ফলে দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। এইভাবে সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ৪০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানি করা।

এর অংশ হিসেবে ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড ২০১৯ সালের জুনে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুটের সমপরিমাণ এবং হংকং সাংহাই-মানজালা নামের একটি যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি ২০২০ সালের মধ্যে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুটের সমপরিমাণ এলএনজি সরবরাহ শুরু করবে। ভারতের পেট্রোনেট এলএনজি লিমিটেড দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট এবং চীনের দুটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে দৈনিক আরও ১০০ কোটি ঘনফুটের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানির জন্য স্থলভিত্তিক অবকাঠামো তৈরির প্রস্তাবও সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

সারাবাংলা/এইচএ/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন