বিজ্ঞাপন

দক্ষিণে ৯০ শতাংশ, উত্তরে শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি

August 23, 2018 | 5:00 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল আজহার পরদিন বিকেলের আগেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় শতভাগ ভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৯০ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে বলে দাবি করেছে দুই সিটি করপোরেশন। ডিএসসিসি এলাকায় বাকি ১০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা উত্তর নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার সময় সাঈদ খোকন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মেয়র সাঈদ খোকন জানান, এ বছর ডিএসসিসি ২০ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ল্যান্ড ফিল্ডে ফেলা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক যানবাহন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ট্রিপ দিয়ে নগরী পরিছন্ন করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসি এলাকায় আজ এবং আগামীকালও কোরবানি হবে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বর্জ্য থাকবে, ততক্ষণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। আমরা শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে বর্জ্যমুক্ত নগরী উপহার দেবো।

বর্জ্য অপসারণের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে নগরভবনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নগরকে পরিষ্কার করে আমরা প্রমাণ করেছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো সমস্যা সঠিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদে সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রক্ষাকারী কল সেন্টারে প্রায় ২ হাজার ৯শ কলের মধ্যে ৩৭টি সার্ভিস রিকোয়েস্ট ছিল, যা পূরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিএসসিসি’র সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আবুল মকসুদ আহমদ বলেন, বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন সন্তোষজনক কাজ করেছে। এটি প্রশংসনীয়। তবে নাগরিকরা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেননি। আশা করছি আগামীবার তারা এ বিষয়ে সচেতন হবেন।

স্থপতি মোবাশ্বর হোসেন বলেন, চেষ্টা করলে সম্ভব— এটা মেয়র সাঈদ খোকন প্রমাণ করেছেন। তিনি গভীর রাত পর্যন্ত নগর ভবনে উপস্থিত থেকে এটি নিশ্চিত করেছেন। আশা করছি অমীমাংসিত অন্যান্য সমস্যা নিরসনে তিনি তৎপর হবেন।

অন্যদিকে, ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জানিয়েছেন, কোথাও কোথাও ঈদের দিন রাত ১২টার আগেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ দিন যেসব পশু জবাই হয়েছে, সেসব পশুর বর্জ্য আমরা শতভাগ অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। আজ ও কালকেও (শুক্রবার) পশু কোরবানি দেওয়া হবে। কেবল সেগুলোর বর্জ্য ছাড়া গতকালের জবাই করা পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার আগেই আমরা অপসারণ করেছি। আজ ও কালকের বর্জ্য অপসারণেও ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট সবাই প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমরা এবার ঈদের কোরবানির পশুর বর্জ্যের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিলাম ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার আগেই আমরা সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা করতে সক্ষম হয়েছি। আজ ও কালকের পশু কোরবানির পর বাকি লক্ষ্যমাত্রাও পূর্ণ হবে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুর এলাকায় অনেকে স্বাস্থ্যসম্মত পলিথিন ও বর্জ্যের ব্যাগ পায়নি— সংবাদ সম্মেলনে   সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেল মেয়র বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি তাদের কাছে এগুলো পৌঁছানোর জন্য। অনেককে পাওয়া যায়নি, পরে রাতে গিয়ে তাদের বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

এসময় তারিকুজ্জামান রাজিব বলেন, পলিথিন ও ব্যাগটি কেবল যারা কোরবানি দিয়েছেন বা দেবেন বলেছিলেন, তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। যারা কোরবানি দেননি, তারা হয়তো এসব না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, ডা. জিন্নাত আলী, দেওয়ান আব্দুল মান্নান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এমএ/এসএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন