বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্ল্যানচেটের কাতর আহ্বান

August 29, 2018 | 3:52 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট। তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনস-এর শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনের (ইউএনএইচসিআর)  শুভেচ্ছা দূত । গত বছর কমিশনের আমন্ত্রণে ব্ল্যানচেট এসেছিলেন বাংলাদেশের কক্সবাজারে। সেখানে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে যা দেখেছেন এবং শুনেছেন তাতে ব্ল্যানচেট যারপর নাই কাতর এবং হতাশ।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মায়ানমার ও রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিষয়ে বক্তব্য দেন ব্ল্যানচেট। তার দেয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শরণার্থীর সংখ্যা সাত লাখেরও বেশি (প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি)।


আরও পড়ুন :  কলকাতায় আগে মুক্তি পাবে মাহির ছবি


আলোচনায় তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আমি এত কষ্ট পেয়েছি যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। এরচেয়েও বড় হতাশার বিষয় হচ্ছে, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য আমরা এখন পর্যন্ত ভালো কিছু করতে পারিনি।’

বিজ্ঞাপন

কেট ব্ল্যানচেট শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন মা। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও সভায় কথা বলেন তিনি। আবেগের সঙ্গে তিনি তুলে ধরেন শরণার্থী শিশুদের কথা। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানকার প্রতিটি বাচ্চার ভেতরেই যেন আমার সন্তানকে দেখতে পেয়েছি।’

নিরাপত্তা পরিষদের সামনে তিনি একটি মানবিক প্রশ্ন রাখেন। ব্ল্যানচেট প্রশ্ন করেন, ‘সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে, এমন দৃশ্য কি কোনো মা সহ্য করতে পারবে?’ এভাবে তিনি শরণার্থী শিবিরের চিত্র তুলে ধরেন সবার সামনে।

কথা বলার এক পর্যায়ে ব্ল্যানচেট নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি অনুরোধ রাখেন। তিনি অনুরোধ করে বলেন, এখানে কোনো সহজ, সোজা ও ছোট রাস্তা নেই। এখানে নেই কোনো বিকল্প পথ। আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগেও (১৯৭৮, ১৯৯২) ব্যর্থ হয়েছি। সবার কাছে অনুরোধ এবার যেন আমরা ব্যর্থ না হই।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএ/পিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন