বিজ্ঞাপন

ইউএস-বাংলার দুর্ঘটনা: ট্রমায় ১১০ যাত্রী

September 26, 2018 | 7:08 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ১১০ জন ট্রমায় ভুগছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন, যার মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। এর মধ্যে এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই দুর্ঘটনার পর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম দ্রুত শাহ আমানত বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আক্রান্ত সব যাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে মেডিকেল টিম বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে মারাত্মক আহত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কমপক্ষে ১১০ জনকে পাওয়া গেছে যারা মারাত্মকভাবে সাইকোলজিক্যাল ট্রমায় আক্রান্ত। তাদের অনেককে বিমর্ষ দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে তাদের ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এসব যাত্রীর অনেকেই ঘুমের মধ্যে ফ্লাইটে আগুন ধরে যাওয়া কিংবা দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠার মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাদের ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠলে তাদের মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

সিভিল সার্জন আরও জানান, উড়োজাহাজ অবতরণের পর হুড়োহুড়ি করে নামার সময় পড়ে গিয়ে এবং পাখার আঘাতে ৪০ জন যাত্রীর কেউ হাতে, কেউ পায়ে আঘাত পেয়েছেন। কারও মাথা কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গেছে। এদের মধ্যে ২৭ জনকে সামান্য ড্রেসিং করে দিতে হয়েছে, ১২ জনকে ব্যান্ডেজ দিতে হয়েছে।

এক নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে জানিয়ে ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ওই নারীর আগে থেকেই পায়ে সমস্যা ছিল। পা ফোলা ছিল। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরও সমস্যা হয়েছে। তাকে বিমানবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারের পথে রওনা দেয়। সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে সেটির সামনের চাকায় ত্রুটি দেখা দেয়। এসময় পাইলট উড়োজাহাজ নিয়ে আকাশে চক্কর দিতে থাকেন। দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেটির জরুরি অবতরণে সক্ষম হন পাইলট অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার মো. জাকারিয়া। উড়োজাহজটিতে যাত্রী ছিল ১৬৪ জন, ক্রু ছিলেন ৭ জন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন