বিজ্ঞাপন

প্রতীকী প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া, বিএনপির জনসভা চলছে

September 30, 2018 | 1:58 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকলেও তাকে প্রতীকী প্রধান অতিথি করেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বিএনপির জনসভা। খালেদা জিয়ার জন্য মঞ্চে একটি চেয়ারও খালি রাখা হয়েছে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিএনপির জনসভা।

আরও পড়ুন- দুপুরে বিএনপির সমাবেশ, পুলিশের কড়া নিরাপত্তা

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সকাল ১০টা থেকেই জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ব্যানার, ফেস্টুন, হেডার, দলীয় প্রতীক ধানের শীষের রেপ্লিকা, নামাঙ্কিত টি-শার্ট পরে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন তারা।

ভ্যাপসা গরম ও তীব্র রোদের কারণে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশ স্থলের বাইরে ফুটপাতে, সড়কে ও পাশের রমনা পার্কে জটলা বেঁধেছেন। সমাবেশস্থলের চেয়ে আশপাশেই তাদের অবস্থান বেশি।

বিজ্ঞাপন

যদিও ডিএমপির দেওয়া ২২ শর্তের মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা আগে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে,  মিছিল নিয়ে জনসভায় আসা যাবে না। কিন্তু প্রকৃত চিত্র বলছে, মৎস ভবন মোড় থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়েছে সমাবেশে আসা বিএনপি সমর্থকদের অবস্থান।

সমাবেশে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে রেখেছে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকা। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটের নেতার নামেও স্লোগান দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

জনসভায় এরইমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদু চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা।

এদিকে, জনসভার মূল এজেন্ডা সম্পর্কে বিএনপির তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু না বললেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জনসভায় সাত দফা দাবি ও ১২টি লক্ষ্যের  কথা ঘোষণা করবে বিএনপি। দাবিগুলো হচ্ছে— খালেদা জিয়ার মুক্তি, সাজা বাতিল, দলটির নেতাকর্মীর নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন মামলা না দেওয়া, তফসিলের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া ও সরকারের পদত্যাগ, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার না করা।

সাত দফা দাবির পাশাপাশি ১২টি লক্ষ্যও জাতির উদ্দেশে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছ। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিত করা, প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দলীয়করণের বদলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক ও শক্তিশালী করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ, কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মদদ না দেওয়া, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়া এবং আয়ের বৈষম্য অবসানকল্পে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলোই তো আসবে। নির্বাচন সামনে রেখে এই বার্তা-ই তো দিতে হবে।’

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

আরও পড়ুন

দুপুরে বিএনপির সমাবেশ, পুলিশের কড়া নিরাপত্তা

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন