বিজ্ঞাপন

শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি

October 3, 2018 | 7:18 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এজাহারে লেখা বক্তব্য আর তার ফেসবুকের লাইভে যে লিংক দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কোনো মিল নেই বলে আদালতকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

তিনি বলেছেন, এজাহারে বলা হয়েছে, শহিদুল আলমকে আটক করার সময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু জব্দ তালিকায় দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করার কথা বলা হয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানিকালে বুধবার (৩ অক্টোবর) তার আইনজীবী আদালতকে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ আবেদনের উপর আগামীকাল শুনানি করবেন এমন প্রার্থনা করলে আদালত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস তার জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।

শুনানিতে শহিদুল আলমের আইনজীবী সারা হোসেন মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা তুলে ধরে বলেন, শহিদুল আলমের যে বক্তব্য এজাহারে তুলে ধরা হয়েছে তার সঙ্গে শহিদুল আলমের ফেসবুকের লাইভের যে লিংক দিয়েছে, তার মিল নেই।

এ ছাড়া এজাহারে বলা হয়েছ, শহিদুল আলমকে আটক করার সময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু জব্দ তালিকায় দুইটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করার কথা বলা আছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহিদুল আলম বলেছেন এ সরকার অনির্বাচিত, অবৈধ। এ বক্তব্য তো হরহামেশা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে রাজনৈতিকভাবে বলা হচ্ছে। শহিদুল আলম যদি বলেও থাকেন সেটি তার অভিমত। একজন নাগরিকের মত প্রকাশের সে অধিকার রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারের বর্ণিত কারণ উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না বলেও শুনানিতে দাবি করে সারা হোসেন শহিদুল আলমের জামিন প্রার্থনা করেন।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, শহিদুল আলম ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দিয়েছেন। বলেছেন, এক শিক্ষার্থীর চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে, ছাত্রীদের তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনকি সরকার পতনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ কথাগুলো তিনি তার জবানবন্দিতেও স্বীকার করেছেন। তার এসব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে সরকারর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

এ পর্যায়ে মমতাজ উদ্দিন ফকির শহিদুল আলমের জামিনের বিরোধীতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের শুনানির জন্য সময় চান।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ মামলায় ৬ আগস্ট সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন