বিজ্ঞাপন

সরকারি কেনাকাটা বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন ১১ হাজার কর্মকর্তা

October 10, 2018 | 8:23 pm

।। স্টাফ করসপনডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি কেনাকাটা সক্ষমতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ব্যাপকভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ইতালির তুরিনে অবস্থিত আইএলও এর আন্তর্জাতিক ট্রেনিং স্টোরের (আইটিসি) এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক মো. ফারুক হোসেন ও আইসিসি আইএলও এর টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যবস্থাপক রাফ ক্রজার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস সেরিন জুমা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউ বাস্তবায়নাধীন ডাইমেপ প্রকল্পের আওতায় স্বাক্ষরিত এ চুক্তির মেয়াদ ২০২২সালের জুন পর্যন্ত। চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার ৫৮০ টাকা।

ডাইমেপ প্রকল্পের চারটি কম্পোনেন্টের মধ্যে সক্ষমতা ও পেশাদারিত্ব অন্যতম। এর আওতায় প্রায় ১১ হাজার কর্মকর্তা ও ক্রয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রশিক্ষণ লাভ করবেন। চুক্তি বাস্তবায়নে আইএলও এর আন্তর্জাতিক ট্রেনিং সেন্টারের সঙ্গে নমিনেটেড সাব কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করবে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি)। সরকারি ক্রয়ে পেশাদারিত্ব সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের পেশাদার তৈরির প্রশিক্ষণও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কেনাকাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি কোনো সাধারণ কেনাকাটা নয়। কেনাকাটার প্রক্রিয়া সঠিক হয় তাহলে পরবর্তীতে মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত হবে। আমরা ম্যানুয়াল দরপত্র থেকে বের হয়ে এসেছি। এতে করে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় সরকারি অর্থের সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি কাজের মান বাড়ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ তরুণ জনশক্তি রয়েছে। জনসংখ্যার বোনাস কাল কাজে লাগাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ২০৩০ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীন হবে এক নম্বর দেশ। আমেরিকা হবে দ্বিতীয়, ভারত তৃতীয় এবং জাপান হবে চতুর্থ দেশ। এতগুলো উন্নত দেশের পাশে বাংলাদেশ থাকায় তাদের উন্নতির অংশীদার হওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে ভৌগলিক কারনেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি আমরা।

সূত্র জানায়, সরকারি ক্রয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য আইটিসিএলও সারাবিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত। ২০০২ সালে সিপিটিইউ প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তী সরকারি ক্রয়ে যে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেখানেও আইটিসিআইএলও তার পরামর্শ সেবা দিয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন