বিজ্ঞাপন

তফসিলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি: ইসি সচিবের বক্তব্যে দ্বিমত কমিশনারের

October 23, 2018 | 8:37 am

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে- নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইসি কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এই সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য— সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। এটি একটি রেওয়াজ। তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকে। তবে তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

সোমবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ইসি কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। ফলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। এই রেওয়াজ আগে থেকেই চলে আসছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি।

তফসিল ঘোষণায় রাষ্ট্রপতির অনুমতি বিষয়ে ইসি সচিবের বক্তব্য নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে— ইসি সচির এমন বক্তব্য দিয়েছেন কি না, আমার জানা নেই। তবে এমন কথা সচিব বলে থাকলে সঠিক বলেননি। কারণ তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির অনুমতির নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, রোববার (২১ অক্টোবর) ইসির ৩৭তম কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেজন্য শিগগিরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তফসিল নিয়ে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে জানা যায়, ১ নভেম্বর ইসির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে কিনা— জানতে চাইলে ইসি কমিশনার রফিকুল বলেন, নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি পাশাপাশি কমিশন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি না, হলে কিভাবে হবে— সব বিষয়েই আলোচনা হবে।

আরপিও সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সেনাবাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সবই সম্ভব। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তখন কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী ছিল না। ফলে এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় থাকুক আর না থাকুক, নির্বাচন কমিশন চাইলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন