বিজ্ঞাপন

আজিমপুর কলোনিতে বহুতল ভবন হচ্ছে

November 4, 2018 | 10:50 am

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়িত হলে মানসম্পন্ন ও ¯^াস্থ্যকর বাসস্থান নিশ্চিত করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের মান বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০১৯ সাল  থেকে  ২০২১ সালের ডিসেম্বরের  মধ্যে বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীতে সরকরি কর্মকর্তা কর্মচারিদের আবাসন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘকাল থেকেই চাহিদার তুলনায় বেশ ঘাটতি ছিল। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেলেও সরকারি আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে আবাসন সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের  তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরীতে পদায়িত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিপরীতে মাত্র ১৩ হাজার ৫২টি ফ্লাট ইউনিট বাসা রয়েছে। এ আবাসিক সংকট  দূরীকরণের জন্য ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৩ হাজার ২৬৮টি, ৬৪৮টি এবং ১ হাজার ৩০৮টি বৃদ্ধি করে ফ্ল্যাট বা ইউনিটের সংখ্যা মোট ১৮ হাজার ২৭৬টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আবাসন সংকট নিরসনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন খালি জমিতে এবং বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় জরার্জীণ ভবন ভেঙ্গে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যেই গণপূর্ত অধিদপ্তর ৪টি প্রকল্পে ১ হাজার ৫১২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করেছে। এছাড়া ১৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ হাজার ১৯০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এগুলো নির্মিত হলে আবাসিক ইউনিটের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২২ হাজার ৭৫৪টি, যা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির সংখ্যার ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এরই ধারাবাহিকতায় আজিমপুর সরকারি কোয়াটারে জোন এ অংশের ৩৬টি পুরনো ও জরার্জীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ১৫টি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রস্তাব করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে আজিমপুর কলোনিতে ৩৩ দশমিক ৬৮ একর জমিতে ৩৬টি পুরাতন ভবন বিদ্যমান আছে যেখানে ৩৫২টি পরিবার বসবাস করে। নতুন ১৫টি ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যমান ৩৬টি জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। এসব পুরাতন ভবনে বসবাসকারী বাসিন্দারা আজিপুর-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য ৯টি ১ হাজার বর্গফুট এবং ৮টি ৮০০ বর্গফুট নতুন ফ্ল্যাট হতে বরাদ্দের জন্য সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে, ২০ তলা ভবনে ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, ৬টি ইউটিলিটি ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট কমন ফ্যাসিলিটিজ স্পেস, ৪ তলা বিশিষ্ট লেডিস ও জেন্টস ক্লাব, একটি ৬ তলা মসজিদ নির্মাণ, ১২ তলা মেকানিক্যাল কার পার্কিং, ৪ হাজার আর.সি.সি রাস্তা, পার্কিং, ফুটপাথ, ওয়াকওয়ে ও আর সি সি ডাস্টবিন, ৪ হাজার মিটার সীমানা প্রাচীর, অরনামেন্টাল গেট, ১৫ হাজার বর্গমিটার জলাশয় উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ, ৮ হাজার বর্গমিটার অন্যান্য ধর্মীয় স্থান উন্নয়ন ও উপাসনালয় নির্মাণ, ৮ হাজার বর্গমিটার অন্যান্য ধর্মীয় স্থান উন্নয়ন ও উপাসনালয়, ২টি স্যুয়েরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৪টি গভীর নলক‚প, কৃত্রিম ভেন্টিলেশন সিস্টেম ও এয়ার কুলার, মেকানিক্যাল কার পার্কিং সিস্টেম এবং ৫৪০ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটিবাস্তবায়িত হলে ১ হাজার ১৪০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক সংকট নিরসনের মাধ্যমে উন্নত ও ¯^াস্থ্যসম্মত বাসস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন