বিজ্ঞাপন

খালেদাকে সমান সংখ্যক মামলায় দেখতে চান এরশাদ

January 9, 2018 | 2:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের সমান সংখ্যক মামলায় দেখতে চান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের যৌথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে জাপার জনসভা সামনে রেখে এ যৌথসভা আয়োজন করা হয়।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মোট ৪২টি মামলা হয়। কারাগারেও পাঠানো হয় তাকে। কয়েকটি মামলা এখনো বিচারাধীন। এসব মামলার বেশির ভাগই হয় বিএনপির আমলে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, ‘ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে হয়েছিল ৪২ টা। আরো ৫টা বাকি আছে— এই কথা মনে করিয়ে দিলাম।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘  আগামী নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। ওই  নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে যেতে চাই। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাওয়ার পর আমি আর নির্বাচন করব না, পলিটিক্স করব না।’

দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থা ভাল মনে হয় না। আমার মনে হয়, সামনে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। কিন্ত আমরা যদি শক্তিশাল হই, কিছুই ভয় করি না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি আমরা দেখাতে চাই, আমরা শক্তিশালী দল।’

বিজ্ঞাপন

জনসভায় কমপক্ষে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটানোর জন্য দায়িত্বশীল নেতাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনসভায় লোক বেশি হলে আমার বয়স কমে যায়। আর লোক কম হলে আমার বয়স বেড়ে যায়। এখন আমার বয়স ৪০ এ নেমে এসেছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সুন্দরগঞ্জ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জনসভায় লাখ লাখ লোক দেখে আমার বয়স কমে গেছে।’

জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, জাতীয় পার্টি নাকি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। ৩০০ নয়, আমরা ৯০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কারণ,  একেক আসনে আমাদের ৩/৪ জন করে  প্রার্থী রয়েছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিই সরকার গঠন করবে।’

অন্যদের মধ্যে যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজে/টিএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন