বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জ-১: কনকচাঁপা লড়বেন হেভিওয়েট প্রার্থী নাসিমের বিরুদ্ধে

December 10, 2018 | 12:16 pm

।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জ: আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যে ৯ জন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। তিনি সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়বেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বিরুদ্ধে।

সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত অংশগ্রহণমূলক সব নির্বাচনেই জয়লাভ করেছে দলটি। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আটঘাট বেঁধে নামছে বিএনপি। যদিও দলটির সাংগঠনিক অবস্থা বরাবরের মতোই এখানে খুব একটা ভালো নয়।

বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর জন্মস্থান সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর) আসনে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের হয়ে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে বিজয়ী হন মনসুর আলীর পুত্র ও মোহাম্মদ নাসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ সেলিম। এরপর ২০০১ ও ২০১৪ সালে মোহাম্মদ নাসিম এই আসন থেকে নির্বাচনে জয় পান। ২০০৮ সালে মামলা জটিলতার কারণে নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিজ্ঞাপন

এ অঞ্চলের রাজনীতিতে মোহাম্মাদ নাসিমের শক্ত অবস্থান রয়েছে। ইউনিয়ন থেকে মহল্লা পর্যন্ত আওয়ামী রাজনীতিতে তার একক আধিপত্য। তবে উপজেলার রাজনীতিতে নেতৃত্ব নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। কোন্দলের জেরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে।

মোহাম্মাদ নাসিম ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনে নির্বাচিত হন ও সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরই মধ্যে সরকারের উন্নয়নের প্রচারণা চালিয়ে ও নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সাথে মত বিনিময় করতে শুরু করেছেন নাসিম। তাকে সাহায্য করছেন এ অঞ্চলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ছেলে তানভীর শাকিল জয়।

আওয়ামী লীগের এই শক্ত দুর্গ ভাঙতে চায় বিএনপি। তবে এখানে বিএনপির রাজনীতি অনেকটা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ওয়ান-ইলেভেনের পর সিরাজগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা পূর্বের চেয়ে আরও নাজুক হয়ে পড়ে। জাতীয় ও আঞ্চলিক আন্দোলন-সংগ্রামে এখানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোনো নজির রাখতে পারেনি। প্রথম সারির নেতাদের অনুপস্থিতিতে হামলা-মামলায় জর্জরিত বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল।

বিজ্ঞাপন

তবে, জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা কিছুটা উজ্জীবিত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় এ আসনে বিএনপির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ থাকলেও কমিটি ঘোষণার পর দলের প্রবীণ ও নবীনরা সংগঠিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেন, চায়ের দোকান, বাজার ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

নিজের জন্মভিটার এই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কন্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিমের বিপরীতে তিনিই বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন। তাকে দিয়ে আসনটি উদ্ধারের চেষ্টা করবে বিএনপি। যদিও গত দশ বছরে দলীয় কর্মকাণ্ড ও তার নির্বাচনী এলাকায় কনক চাঁপাকে খুব বেশি সরব দেখা যায়নি।

কনক চাঁপা বলেন, ‘আমি একজন গানের মানুষ। দীর্ঘদিন গান করে আসছি। গান ছাড়ছি না। তবে গানের পাশাপাশি গণমানুষের পাশে থাকতে চাই। তাদের জন্য কিছু কাজ করে যেতে চাই। জনগণ যদি আমাকে ভালোবেসে তাদের সেবার করার সুযোগ দিতে চায় তাহলে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।

সারাবাংলা/এনএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন