বিজ্ঞাপন

‘আ. লীগ বাঁচাতে’ আপেল নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে পেয়ারুল

December 10, 2018 | 6:55 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একমাত্র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন দলটির নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘আপেল’ প্রতীক পেয়ে প্রচারণায়ও নেমে পড়েছেন।

নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কারের খড়গ মাথায় ঝুললেও পিছিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পেয়ারুল। তার ভাষায়, ‘ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদ্রাহী প্রার্থী হওয়া ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।’

ফটিকছড়িতে ২০১৪ সালের মতো এবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি। শুরু থেকেই ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন ভাণ্ডারি। তাদের অভিযোগ, ভাণ্ডারি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগে বিভক্তি তৈরি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফটিকছড়িতে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনেক সংগ্রাম করেছে। জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগের যত ক্ষতি করতে পারেনি, বর্তমান সংসদ সদস্য তার চেয়ে অনেক বেশি করেছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউ তাকে আর সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় না। তারা সবাই আমার পাশে আছেন। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব এবং জয়ী হব।’

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি ১৯৯১ সালে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ভাণ্ডারি যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগে। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। এরপর ২০০১ সালের পর গঠন করেন তরিকত ফেডারেশন নামে নতুন রাজনৈতিক দল।

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে মহাজোটে ভিড়ে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান এবং জয়ী হন। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভাণ্ডারির দূরত্ব তৈরি হয়। তবে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একটি অংশ ভাণ্ডারির পক্ষে আছে। এই অংশটিই সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে।

এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তার মূল আওয়ামী লীগ নয়। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ‍মুজিব ও সাধারণ সম্পাদক নাজিমের নেতৃত্বে যেসব নেতাকর্মী আছেন তারাই আসল আওয়ামী লীগ। ফটিকছড়ির মানুষ বর্তমান সংসদ সদস্যকে আর চায় না, এটাই আসল কথা।’

এদিকে পেয়ারুলসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থিতায় থাকা ৭ জনকে বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সাত জনের মধ্যে আছেন- চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির হায়দার করিম, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে এমদাদুল হক ও হাসান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাবিলা খাতুন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জামায়াত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম এবং বজল আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

এর বাইরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াত নেতা মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে এবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ১১৮ প্রার্থী। ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে এই ভোটযুদ্ধ হবে।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন