বিজ্ঞাপন

‘মহাসচিবের বহরে হামলার পর যা হয়েছে, সারাদেশে তাই করব’

December 11, 2018 | 6:21 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঠাকুরগাঁওয়ে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীর ব্যাপক সংঘর্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের মহাসচিবের বহরে আক্রমণ করার পর যা হয়েছে, আমরা সারাদেশে তাই করার চেষ্টা করব।’

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যৌথসভা শেষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, দুপুর ১টা নিজের নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রচারণা চালানোর সময় হামলার শিকার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হামলার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের।এ ঘটনায় ৪০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

হামলার জবাবে পাল্টা হামলার বিষয়টিকে ‘জনতার প্রতিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পুলিশের সহায়তায় বা ছত্রছায়ায় হামলার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু এই হামলা আমাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করছে না। তাদের (আওয়ামী লীগ) আমরা জানি— এই সরকারের অধীনে আগেও আমাদেরকে জীবন কাটাতে হয়েছে। এবার এত অত্যাচার, এত গুম-খুন, এত দুর্নীতি তারা করেছে যে ক্ষমতা হারাতে ভয় পায়। তাই ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার জন্য তারা এসব করছে। এবং তারা আশা করছে. এসব করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় কি না— যেন তারা ২০১৪ সালের মতো জনগণের সমর্থন ছাড়াই ক্ষমতায় আসীন হতে পারে।’

‘আমরা কী করব, এটা যদি জানতে চান— তাহলে আমি আপনাদের বলব, আমাদের মহাসচিবের বহরে আক্রমণ করার পর যা হয়েছে, আমরা সারাদেশে তাই করার চেষ্টা করব। অর্থাৎ জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আমরা আশা করছি সারাদেশেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।

ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু বুধবার

বিজ্ঞাপন

বুধবার সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রহ.) ও শাহ পরাণ (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলে জানান বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নরুজল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান, খুব অনিবার্য কোনো কারণ না ঘটলে আমরা আগামীকাল সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরাণ (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনি প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করব— সব সময় তাই করা হয়। আমাদের নেত্রী যখন ছিলেন, উনিও তাই করতেন, আমরাও তাই করব। আমরা আশা করছি, আগামীকাল ড. কামাল হোসেন যাবেন, বিএনপি থেকে আমি যাব, আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যাবেন।

বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যৌথ কর্মসূচি

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ ডিসেম্বর ভোর থেকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন।

১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, সেখান থেকে ফিরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেল ৩ টায় নয়াপল্টন থেকে মগবাজার মোড় পর্যন্ত বিজয় র‌্যালি এবং বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করা হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ’১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।’

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১৪ আসনের  সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা-৪ আসনের সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৮ আসনের মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১ আসনের শামীম আরা বেগম, ঢাকা-১৩ আসনের আবদুস সালাম, ঢাকা-৬ আসনের সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৭ আসনের মোস্তফা মহসিন মন্টু, ঢাকা-১৮ আসনের শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী, সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ এবং তাদের প্রতিনিধি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন