বিজ্ঞাপন

রাবি ক্যাম্পাসে নির্বাচনি আলোচনা তুঙ্গে

December 28, 2018 | 1:24 pm

।। রাবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

আর মাত্র দুদিন পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারাদেশে বিরাজ করছে নির্বাচনি আমেজ। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় একটাই আলোচনা আর তা হচ্ছে নির্বাচন। বাস-ট্রেন, চায়ের কাপের আড্ডায় নির্বাচনি তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, কে হচ্ছে আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি। নির্বাচনের তর্ক বিতর্ক সারাদেশের মতো চলছে, দেশসেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। যাদের মধ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো তাদের ভোট দেবেন। এদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই নতুন ভোটারই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দিবে। তবে এ তরুণ ভোটার বলছেন নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা আছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে তারা এমন প্রার্থীদেরকে বেছে নিবেন যারা, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তরুণদের নিয়ে ভাবেন। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশে সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক চর্চার পাশাপাশি চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মাদক মুক্ত দেশগড়তে বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধীজীবী স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বর, ইবলিশ চত্বর, টুকিটাকি, লিপু চত্বর, সাবাশ বাংলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সাগর ক্যান্টিন, আবাসিক হলগুলোর পাশের দোকানসহ পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মূখ্য বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বিজ্ঞাপন

আড্ডার বিষয় যাই হোক না কেন ঘুরে ফিরে নির্বাচনি আলাপেই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন। সাবাশ বাংলা মাঠে আড্ডা দিচ্ছিল বাংলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী যাদের সকলেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। কেমন প্রার্থীকে ভোট দিবেন জানতে চাইলে, বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দীন ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তবে আমরা তরুণরা সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী প্রার্থীকে ভোট দিবো যারা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।’ এসময় পাশ থেকে তার সহপাঠী তারানা তাবাসসুম বলেন, আমরা দেশে আগুন সন্ত্রাস চাইনা। এমন প্রার্থীকে ভোট দিবো যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তরুণদের নিয়ে কাজ করবেন।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বলছেন, জনগণের যে সাড়া পাচ্ছি তাতে তাদের প্রার্থী বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ভোটাররা জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসের রাজনীতি চায় না। দেশের যে চলমান উন্নয়ন তার ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে এটাই তাদের চাওয়া। যার নেতৃত্ব দিবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’

রাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ‘সবখানেই ধানের শীষের জোয়ার। এ জোয়ারে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকার ভাটা পড়বে। সাধারণ মানুষের চাওয়া আমরা যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেই।’

সারাবাংলা/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন