বিজ্ঞাপন

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

December 29, 2018 | 2:35 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘরএষ অন্তত ৩০টি বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচলা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি জাহিদ হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হলে আওয়ামী লীগে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তোফাজ্জল মিলিটারির লোকজন ইউসুফ আকন্দকে সোনামুই বাজার থেকে সাহাপাড়ায় ধরে নিয়ে রামদা ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিপক্ষের ২২টি পরিবারের কমপক্ষে ৩০টি ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে।

পরে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় মেম্বার বিলাতের ছেলে নাসির উদ্দিনকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

আটক ব্যক্তিদের স্থানীয়রা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ ও গুলিতে দুপক্ষের প্রায় অর্ধশত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

আহতদের মধ্যে জনি (২০), নুরুল আকন্দ (৭৫), আক্তার (২৮), মারুফ হোসেন (৫৫), শরিফ (৩৫) ও সামছুল আকন্দকে (৪৫) এবং সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ইউসুফ আকন্দ (৪৫) ও গোলাম মোস্তফাকে (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোতাহার হোসেন জানান, ‘তোফাজ্জল মিলিটারি ও তার লোকজন সব সময় এলাকায় নানা বিশৃঙ্খলা করে বেড়ায়। তার নেতৃত্ব সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। বিশৃঙ্খলাকারী কেউ আওয়ামী লীগের হতে পারে না। তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন