বিজ্ঞাপন

দেশে প্রথমবারের মতো আইএমইআই ডাটাবেজ চালু

January 22, 2019 | 5:46 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) ডাটাবেজ। মোবাইল ফোন শনাক্ত করতে ব্যবহৃত প্রতিটি ফোনের ১৫ ডিজিটের অনন্য নম্বরটিকে বলা হয় আইএমইআই। এই নম্বরের ডাটাবেজ চালু হওয়ায় গ্রাহকরা জানতে পারবেন তার মোবাইলটি নকল কি না, রোধ করা যাবে মোবাইল চুরি। চোরাই পথে আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। মোবাইলের মাধ্যমে সংগঠিত হওয়া অপরাধও ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ভবনে আইএমইআই ডাটাবেজের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নিজের মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ১৬০০২ নম্বরে এসএমএস করে এই ডাটাবেজের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায় জড়িত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই মুহূর্তটি দেশের জন্য একটি মাইলফলক। আগে আমরা সরকারের কাছে রেয়াত, কর অব্যাহতি চেয়েছি। এখন এর মাধ্যমে সরকারকে আরও বেশি রাজস্ব দিতে পারব। চুরি করা হ্যান্ডসেট আমদানি রোধ হওয়ায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমবে। রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখন ঘরে বসেই বুঝতে পারবে কে কর দিয়েছে, কে দেয়নি। মন্ত্রী বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি চালুর ফলে দেশে গড়ে ওঠা মোবাইল উদ্যোক্তারাও উপকৃত হবেন।

বিজ্ঞাপন

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আইএমইআই ডাটাবেজ চালুর ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ হবে। কাস্টমসের কাছ থেকে আইএমইএইয়ের তথ্য জানা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ে কতসংখ্যক মোবাইল আমদানি ও দেশে তৈরি হয়েছে, তাও জানা যাবে।

জহুরুল হক বলেন, বিটিআরসি সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে। একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ করছে। আইএমইআই চালুও তেমনই একটি উদ্যোগ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, দেশের জন্য এটি একটি নতুন উদ্যোগ। দেশে এটি মার্কেট পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, এর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে। সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে মোবাইল চুরিও ঠেকানো যাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমইআই ডাটাবেজ থেকে পরীক্ষা করে দেখা হবে কোন কোন নম্বর (আইএমইআই) নকল। তখন নকল আইএমইআই ব্যবহার হওয়া ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাদের মতে, আইএমইআই নকল না আসল তা পরীক্ষার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। মোবাইল ফোন পরীক্ষার জন্য সেসব পদ্ধতিই অনুসরণ করা হবে।

যেভাবে যাচাই করবেন আইএমইআই নম্বর

প্রতিটি মোবাইলেরই একটি ১৫ ডিজিটের অনন্য আইএমইআই নম্বর রয়েছে। নতুন মোবাইলের প্যাকেটের গায়ে এই নম্বরটি লেখা থাকে। আর যেকোনো মোবাইলে *#০৬# চাপলেই পাওয়া যায় এই নম্বরটি। এটি আসল কি না কিংবা এই আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসি’র ডাটাবেজে আছে কি না, তা জানতে মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে লিখতে হবে KYD<SPACE>১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর। এরপর সেটা পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত রয়েছে কিনা, তা জানা যাবে ফিরতি মেসেজে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন