বিজ্ঞাপন

‘ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ, অগ্রগতি ১৯ শতাংশ’

February 4, 2019 | 7:01 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানী ঢাকা শহরের চারদিক ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পের ১৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, যানজট নিরসনে ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়। এর পরামর্শক নিয়োগের জন্য দুই বার ইওআই আহ্বান করা হয়েছে এবং নেগোসিয়েশন চলমান। এ প্রকল্পের অগ্রগতি ১৯ শতাংশ। সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন- ভারতে রেল যাবে ৯ রুটে, সংসদে রেলমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রশ্নকর্তার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুত গতির রেল রুট চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রেলওয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে এ রুটের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হলে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুত গতির রেল লাইন বসাতে ও রেল যোগাযোগ চালু করতে পারব।

১০ বছরে ১ লাখ কোটি টাকার ৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগের আগের দুই মেয়াদে, অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের উন্নয়নে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে বাংলাশে রেলওয়েতে ৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প ও তিনটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প, অর্থাৎ মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর জন্য মোট ১১ হাজার ৩৩১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশে ৪৪টি জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। আরও ১৫টি জেলা রেল নেটয়োর্কের আওতায় আনা হবে। পরবর্তী সময়ে দেশের ৬৪টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, নতুন যে ১৫টি জেলা রেল নেওয়ার্কের আওতায় আসছে, সেগুলো হলো— মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মেহেরপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দারবান, কক্সবাজার, নড়াইল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর ও বরগুনা।

রেলপথ পুনর্বাসন ও নতুন রেল লাইন নির্মাণের জন্য রেলওয়ের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩০ দশমিক ১৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং ১১৩৫ দশমিক ২৩ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটারমি রেলপথ, ঈশ্বরদী থেকে ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় ১৩টি নতুন রুটে রেল চালানোর জন্য ভিজিবিলিটি টেস্ট করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বন্ধ থাকা রেল লাইন চালুর প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী জানান, কালখালি-টিয়াপাড়া, বিরল-রাধিকাপুর, কুলাউড়া-শাহবাজপুরসহ দেমেল আরও কয়েকটি বন্ধ হওয়া রেলপথ চালু করতে কাজ চলছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন