বিজ্ঞাপন

গেইল আতঙ্কে ঢাকা

February 5, 2019 | 5:41 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

বিপিএলের চলতি আসরে তার ব্যাট হাসছে না। লিগ পর্ব শেষ হয়ে প্লে অফ শুরু হয়ে গেল, তবুও আঁড়ি পেতে বসে আছে। আঁড়ি ভেঙ্গে আবার কবে হাসবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। অথচ টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিজেকে রাজা বলে দাবী করেন। সেটা অবশ্য এমনি এমনি নয়। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের এই ক্রিকেটে ১২ হাজার রানের মালিক বলেই। টি-টোয়েন্টির রাজার গোমরামুখো ব্যাটিংয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয় প্রত্যাশিত জয় বঞ্চিত হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাতে করে তাদের ফাইনালের পথও প্রলম্বিত হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো তবুও তাকে নিয়ে শঙ্কিত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস।

তার অবশ্য সুস্পষ্ট কারণও আছে। গেইল জ্বলে উঠলে যে কোন প্রতিপক্ষেরই কপাল পোড়ে। ঠিক যেমন গেল আসরে পুড়েছিলো এই ঢাকারই। ফাইনালে ৬৯ বলে তার ১৪৬ রানের টর্নেডো ইনিংসে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছিলো রংপুর। আর ঢাকাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো খুব কাছে গিয়েও চতুর্থ শিরোপা হারানোর খেদ নিয়ে।

ষষ্ঠ আসরে নিজের খেলা ১১ ম্যাচে গেইল সর্বোচ্চ খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। তাও ২৯ বল থেকে। ২২ জানুয়ারি খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে খেলা ওই ম্যাচের স্ট্রাইক রেট তার পক্ষে কথা বলছে না। কথা বলছে না সবশেষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিতেও। ৪৪ বল থেকে সাকুল্যে সংগ্রহ করেছেন ৪৬ রান।

বিজ্ঞাপন

এখানেই যত ভয় ডায়নামাইটস শিবিরের। কেননা গেইলের জ্বলে ওঠার দিনে যে দল সামনে থাকবে তারাই জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে, একথা খালেদ মাহমুদ সুজনের চাইতে ভালো আর কে জানে? যেহেতু গেল বিপিএলে তার দলের বিপক্ষেই মারমার কাটাকাট ইনিংস খেলে একাই দল জিতিয়েছিলেন গেইল।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে সেকথাটিই যেন আবার মনে করিয়ে দিলেন ডায়নামাইটস কোচ।

‘গেইল রান না করা ভয়েরই কারণ। কেননা গত আসরের ফাইনালে তার সেঞ্চুরিই আমাদের পেছনে ফেলে দিয়েছিল। ক্রিস গেইল ইজ ক্রিস গেইল। তার আসলে তুলনা চলে না। সে কখন মারবে, কীভাবে মারবে এটা আসলে তারই ব্যাপার। ক্রিসকে (গেইল) নিয়ে আসলে আলাদাভাবে প্লান করার দরকার নেই। এখন হয়তো মারছে না। কাল (বুধবার) প্রথম বল থেকেই মারা শুরু করবে।’

বিজ্ঞাপন

গেইল প্রসঙ্গে সুজন যা বলেছেন তা সবই সম্ভাব্যতার কথা। যদি এমন হলো এই ম্যাচেও গেইলের ব্যাট নিস্প্রভ থাকলো! তখন কী হবে। লিগ পর্বে রংপুরকে দাপুটে এক একটি জয় এনে দিয়ে দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেইলস ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দেশে ফিরে গেছেন। বিদেশিদের ভেতরে মারকুটে বলতে আর আছেন কেবল রাইলি রুশো। তার একার ব্যাটে ভর করে মাশরাফিদের ফাইনালের মিশন কতটা সহজ হবে সেই শঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আর এখানেই স্বস্তি দেখছে ঢাকা। তাদের অনুপস্থিতিই ঢাকাকে ফাইনালের হাতছানি দিচ্ছে। ‘হেইলস ও এবি না থাকলে তো অবশ্যই রংপুর একটু ব্যাকফুটে থাকবে। আর অবশ্যই এটি আমাদের দলের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার থাকবে। এর আগে ওদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ছিলো শীর্ষে। চারজনই দারুণ ক্রিকেটার। কাকে রেখে কাকে বসিয়ে রাখা হবে সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকতো দলটি। সেদিক থেকে একটু স্বস্তি তো আছেই। আমরা অনেক ব্যালেন্সড এবং ভালো দল। ভালো খেলছি মাশাল্লাহ। মানে একটি খারাপ অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। ইনশাল্লাহ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে বলে আমি মনে করি।’

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন