বিজ্ঞাপন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩ মাস পর চায় ছাত্রদল, উপাচার্যের না

February 7, 2019 | 1:49 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও হলে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নেই উল্লেখ করে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল তিন মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের প্রণীত আচরণবিধি ও ডাকসুর গঠনতন্ত্র মেনেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে তফসিল ঘোষণাসহ সাত দফা দাবি ঢাবি উপাচার্যের কাছে তুলে ধরেন ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আক্তারুজ্জামানের কাছে।

আরও পড়ুন- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যকে ছাত্রদলের ৭ দফা

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তারিখও সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত করেছে।

তবে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নেই বলে দাবি করে আসছে ছাত্রদল। সে কারণেই নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য লাউঞ্জে গিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভপতি আল মেহেদী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী গিয়ে লিখিতভাবে এই দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্যের কাছে ছাত্রদল দাবি জানিয়েছে, ন্যূনতম তিন মাস সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করার অধিকার নিশ্চিত হওয়ার পরই ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সংগঠনটি বলছে, অংশগ্রহণমূলক ও ভীতিহীন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে স্থানান্তর করতে হবে। এতে করে সব আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়া নিশ্চিত করতে ৩০ বছরের বয়সসীমা বাতিলের দাবিও রয়েছে ছাত্রদলের। এর পেছনে সংগঠনটি যুক্তি হিসেবে বলছে, ছাত্রত্ব নির্ধারিত হওয়া উচিত ভর্তির সেশন দিয়ে, বয়স দিয়ে নয়।

তফসিল পেছানোর পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার পর সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদের নির্বাচনি প্রচারণা প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখার দাবিও জানিয়েছে ছাত্রদল। বলা হয়েছে, ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো নেতাকর্মী ও প্রার্থীকে কোনো ধরনের হয়রানি মামলা ও গ্রেফতার করা হবে না বলে নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়ে বের হওয়ার পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান সাংবাদিকদের সঙ্গে দাবিগুলো পড়ে শোনান। তিনি বলেন, আমরা সত্যিকারভাবে চাচ্ছি যে ডাকসু নির্বাচন হোক। আর তার জন্য অবশ্যই প্রথমে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

পরে ছাত্রদলের শতাধিক কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা পদযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে শাহবাগ দিয়ে চলে যায়।

ছাত্রদলের দাবি ও স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের নেতারা এসে আমার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে গেছে। আমরা বলেছি, ডাকসুর জন্য নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র আছে এবং একটি আচরণবিধি প্রণীত হয়েছে। সেই গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি অনুসরণ করেই আমাদের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান ও আচরণবিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হবে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ছাত্রদলকে এ কথা বলে দেওয়া হয়েছে। যার যার সাংগঠনিক কার্যক্রম যার যার প্রক্রিয়ায় তাদের নিজেদের সংগঠন মোতাবেক প্রচলিত হবে। কেবল উগ্রপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ক্যাম্পাসে কোনো কর্মকাণ্ড করতে পারবে না।

ছবি: হাবিবুর রহমান

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন