বিজ্ঞাপন

‘অবস্থা উন্নতির দিকে, আপাতত সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না কাদেরকে’

March 3, 2019 | 9:34 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সকাল ও দুপুরের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। যে কারণে আপাতত তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে না।

রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড় ৯টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

আরও পড়ুন- কাদেরের জন্য সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে বলেন, সকাল ও দুপুরের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। উনি চোখ খুলে তাকান, উনি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে পানি খাবেন কি না, ‍তিনি মাথা নেড়ে উত্তর দিয়েছেন। তিনি হাত-পা নাড়ছেন।

তিনি আরও বলেন, দুপুরের দিকে ওবায়দুল কাদেরের প্রস্রাব একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন প্রস্রাবও করছেন। ঘণ্টায় একশ সিসি করে প্রস্রাব হচ্ছে তার। রক্তচাপও এখন স্ট্যাবল আছে। অর্থাৎ, তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে এবং উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন- কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

বিজ্ঞাপন

শারীরিক অবস্থার উন্নতির এই ধারাবাহিকতার কারণেই ওবায়দুল কাদেরকে আপাতত সিঙ্গাপুরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য। তিনি বলেন, আমরা সিঙ্গাপুরের টিমের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত উনি এখানেই থাকবেন। পরবর্তী সময়ে অবস্থার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার

আগামীকাল সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার পরবর্তী তথ্য জানানো হবে বলে জানান কনক কান্তি বড়ুয়া।

এর আগে অবশ্য সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দলের সঙ্গে বিএসএমএমইউয়ে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে দুই পক্ষই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান জানিয়েছিলেন, সময় চূড়ান্ত না হলেও কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- লাইফ সাপোর্টে ওবায়দুল কাদের

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ওই দল বিএসএমএমইউয়ে এসে পৌঁছায়। শারীরিক অবস্থা টানা স্থিতিশীল না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা ভাবা হলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়।

জানা গেছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন সিঙ্গাপুরের এই চিকিৎসকরা। ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা অনুমোদন করলে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন সাপেক্ষে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই কাদেরকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসছে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল

এর আগে, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার কারণে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে প্রাথমিক ওষুধপত্র দেওয়ার পর তার এনজিওগ্রাম করা হয়। তাতে তার হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে বাম পাশের প্রধান রক্তনালীর ব্লকটি স্টেন্ট (রিং) পরানোর মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বাকি দুইটি ব্লক অপসারণের জন্য কোনো প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এর আগে সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউ কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, তিনি চোখ খুলছেন, কথা বলছেন, কিন্তু ক্রিটিক্যাল অবস্থাতে আছেন। তিনি পা নাড়ছেন, চেষ্টা করছেন কথা বলার। এ অবস্থা যদি আরও কিছু সময় থাকে, তাহলে মেডিকেল থেরাপি বা বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

সারাবাংলা/জেএ/এসএ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন