বিজ্ঞাপন

প্রকল্পে দেরি ঠেকাতে রাস্তায় নেমেছি: গণপূর্তমন্ত্রী

March 9, 2019 | 10:58 am

।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রকল্পে যাতে দেরি না হয় সেজন্য রাস্তায় নেমেছি বলে মন্তব্য করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শ‌নিবার (৯ মার্চ) সকা‌লে পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশে ৬০ ফুট খাল খনন প্রকল্প ঘুরে দেখার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রকল্প কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, কোনো কারণে প্রকল্পের কাজে দেরি করা যাবে না। দেরি যাতে না হয় সে কারণেই মন্ত্রণালয় ছেড়ে রাস্তায় নেমেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও এরকম বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

খাল খনন প্রকল্প পরিচালক জানান, খালের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়কের দক্ষিণ পাশের রিটেইনিং ওয়ালের পুরোটাই হয়ে গেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালের মূল প্রকল্পে কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট করে খাল খনন করতে ৯০ দশমিক ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে করা এই অধিগ্রহণ বাবদ খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় হয় ২০৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১০০ ফুট খালের খননকাজ শুরু হয়।

প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এর আগেই প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। সংশোধিত প্রকল্প অনুযায়ী, আরও ৫৫ দশমিক ১ একর জমি নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে। নতুন জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে আরও ১ হাজার ৪৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও দিতে হবে ৫২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সংশোধনী অনুযায়ী, পুরো প্রকল্পে মোট অধিগ্রহণ করা জমি হবে ১৪৫ দশমিক ২৫ একর। ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার প্রকল্পের মধ্যে অধিগ্রহণে খরচ হবে মোট ৫ হাজার ৬১৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর ক্ষতিপূরণে মোট ব্যয় হবে ৭৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পে যুক্ত তিন খাল
সংশোধিত প্রকল্পে তিনটি খাল যুক্ত করা সম্পর্কে রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে নিকুঞ্জ, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, জোয়ারসাহারা, সেনানিবাস, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১০০ ফুট খালটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে শুধু ১০০ ফুট খাল দিয়ে বিশাল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। তাই, প্রকল্পের সঙ্গে নতুন করে ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল তিনটি যুক্ত করা হয়েছে।

রাজউক জানায়, হোটেল লা মেরিডিয়ানের পেছনের এডি-৮ খালের সঙ্গে যুক্ত বোয়ালিয়া খাল। খাল দুটির বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। নতুন করে খাল দুটি খনন করা হবে। খননের পর বোয়ালিয়া খালের সঙ্গে যুক্ত হবে ১০০ ফুট খাল। খননের পর এডি-৮ খালের দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং বোয়ালিয়া খালের দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। দুটি খালেরই প্রস্থ হবে ১০০ ফুট করে। এই দুই খালের পানি ১০০ ফুট খাল হয়ে বালু নদে গিয়ে পড়বে। এ ছাড়া ডুমনি এলাকার ডুমনি খালটিও সংস্কার করা হবে। এই খালটিও প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। খননের পর এই খালেরও প্রস্থ হবে ১০০ ফুট, দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এই খালটি পাশের কাঁঠালিয়া খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে, ডুমনি খালের পানিও বালু নদ পর্যন্ত যাবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খাল তিনটি খননের পাশাপাশি পাড় বাঁধাইসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে। এসব কাজ শেষ হলে নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, জোয়ারসাহারা, সেনানিবাস, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না।

সারাবাংলা/এসএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন