বিজ্ঞাপন

মার্চের শেষ ভাগে কালবৈশাখী, আগাম বন্যার সম্ভাবনা

March 16, 2019 | 12:54 am

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আজ চৈত্রের দ্বিতীয় দিন। ইংরেজি মাসের পেরুলো অর্ধেক। অর্থাৎ বৈশাখের আসতে বাকি ঢের। কিন্তু প্রকৃতিও যেন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে দিন দিন। গ্রীষ্ম এসে জিরোতে পারেনি, এরই মধ্যে বর্ষা আসবে জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছে। কেবল কালবৈশাখী নয়, তার আসার তো সব ঠিক রয়েছে- শোনা যাচ্ছে, আসবে আগাম বন্যা। কথা পাকা না হলেও, সম্ভাব্য সময় এই মাসের শেষ দিকে।

শনিবার (১৬ মার্চ) সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অন্যদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরের ডিমলায়, ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষজ্ঞরা মার্চের শুরুতেই জানিয়েছিলেন, মার্চে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতই হবে। তবে এই মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২ দিন শিলাবৃষ্টি, মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী, বজ্রঝড় এবং অন্য অঞ্চলে ৩ থেকে ৪ দিন শিলাবৃষ্টি, হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী ও বজ্রঝড় হতে পারে।

মার্চ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের (৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) চেয়ে সামান্য বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কিংবা মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ও আগাম বন্যার আগেই আসছে তাপপ্রবাহ। ইতোমধ্যে দেশের বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মার্চ মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাস এমন বার্তাই দিচ্ছে।

যেমন ছিল ফেব্রুয়ারি

অন্যদিকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া মডেল পূর্বাভাস, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে স্বভাবিকের চেয়ে ১৬২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গার ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরপর পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে আঁতাত করে পূবালী বাতাস ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষিপ্তভাবে সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ঝড়ায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয় বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি।

বিজ্ঞাপন

পরের সপ্তাহে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারিও তাদের দাপট দেখা যায়। দেশের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। সেই সঙ্গে অনেক জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বয়ে গিয়েছিল দমকা বা ঝড়ো বাতাস। বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবরও সে সময় জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

বিশেষভাবে মনে রাখার মতো ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন চট্টগ্রামে বাতাসে সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়, ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন