বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে’

March 25, 2019 | 9:23 pm

জাবি করেসপন্ডেন্ট

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পত্তি না, ছাত্রলীগের সম্পত্তি না। তিনি ১৬ কোটি মানুষের সম্পত্তি।’ সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এজন্য আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। আজ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখেন, তারা আমাদের মতো হতে চায়। পাকিস্তান শেষ। আর আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা দিক-নির্দেশনা দিয়ে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিদের চেয়ে রাজকাররা আমাদের বেশি ক্ষতি করেছে। কারণ পাকিস্তানিরা আমাদের চিনতো না। রাজাকাররা না থাকলে পাকিস্তানিরা আমাদের কিছুই করতে পারতো না। পাকিস্তানিরা যে কী হিংস্র নরপিশাচ ছিল, যারা পাকিস্তানি আমল দেখেনি তারা বুঝবেন না।’

পাকিস্তানি শাসনামলের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যারা বাঙালি ছিলাম আমাদের আর্থিক অবস্থা তখন ভালো ছিল না। আমি নিজে খালি পায়ে স্কুলে যেতাম। আমার বাবার জুতা কিনে দেওয়ার টাকা ছিল না। কলেজে যেতাম বাসে করে। সেই কন্ট্রাক্টরও উর্দুতে কথা বলতো। আমাদের অনেক বাঙালি উর্দুতে কথা বলতে তখন গর্ব করতো। এখন যেমন অনেকে ইংরেজিতে কথা বলে। আমরা যারা দেখেছি তারা জানি। আমাদের তারা কুকুর-বিড়ালের মতো মনে করতো। মানুষ বলে মনে করতো না। সেই জমানায় আমরা কোথাও বাংলা কথা বলতে পারতাম না। সরকারি অফিসে গেলে উর্দুতে কথা বলতে হতো।’

বিজ্ঞাপন

‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’, শিরোনামে এ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। সভাপতির ভাষণে উপাচার্য বলেন, ‘১৯৭৫ এ জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর শত্রুরা স্বাধীনতার গল্প ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা বেশিদিন সফল হতে পারেনি। বাঙালি স্বাধীনতা এবং মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’

জাবিতে মুক্তিসংগ্রাম উৎসবের উদ্বোধন করলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মন্ত্রীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল আলম এবং শিল্পী ফকির আলমগীরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, উৎসবের আহ্বায়ক ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯’ এর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন