বিজ্ঞাপন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

March 28, 2019 | 11:14 am

বরিশাল: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ব‌রিশাল বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের সব কার্যক্রম অনি‌র্দিষ্টকা‌লের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৫টার ম‌ধ্যে বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের সব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী‌দের হল ত্যা‌গের নি‌র্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ মার্চ) রা‌তে বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের রে‌জিস্ট্রার স্বাক্ষ‌রিত এক নো‌টি‌শে বলা হয়, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অন‌াকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প‌রি‌প্রে‌ক্ষি‌তে আইনশৃঙ্খলা প‌রি‌স্থি‌তি ঠিক রাখার স্বা‌র্থে বিশ্ববিদ্যাল‌য় বন্ধ ঘোষণা করা হ‌লো।

এদিকে রাতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাইরে এসে বিক্ষোভ করে এই নোটিশের প্রতিবাদ জানান। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আন্দোলন থামাতে ভিসি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ভিসির নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলেও মনে করেন তারা।

তবে নোটিশ উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কেউ হলও ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট করে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার ও উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে। সকাল ১০টা থেকে চলা এই বিক্ষোভে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বৈকালিক চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে ওই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল না। ফলে বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠানের বাইরে প্রতিবাদ জানান তারা।

এ ঘটনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

এরই প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের সঙ্গে তারা যুক্ত করেছেন আরও ৫ দফা দাবী। এরমধ্যে রয়েছে টিএসসি’তে পাঠদান না করানো, সেমিনার রুমের ভাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা এবং সকল জাতীয় দিবস শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে উদযাপন করা।

এ নিয়ে উপচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পাঁয়তারা করে। যারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পাঁয়তারা করে তারা রাজাকার না তো কি?

এখন কি তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন? এটা কি হতে পারে?, প্রশ্ন রাখেন উপাচার্য।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে এবং তাদের ইন্ধনেই কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে অরজকতা করছে বলেও দাবি করেন উপাচার্য। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সবগুলো বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএমএন/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন