বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে প্রস্তুত ২৭৩৯ সাইক্লোন সেন্টার, ২৮৪ মেডিকেল টিম

May 2, 2019 | 3:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে ছয় নম্বর বিপদসংকেত আসার পর সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭৩৯টি সাইক্লোন সেন্টার। এছাড়া ২৮৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এছাড়া সাগর তীরবর্তী লোকজনকে স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টারে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে জানান, জেলা প্রশাসনে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া, প্রত্যেক উপজেলায়ও আলাদা-আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় দুই হাজার ৭৩৯টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক।

সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার মানুষের জন্য শুকনো খাবারও মজুদ আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘উপকূলীয় উপজেলাগুলোর মধ্যে সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও আনোয়ারায় মাইকিং চলছে। লোকজনকে সাইক্লোন সেন্টারে চলে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ক্ষেতে পাকা ধান থাকলে সেগুলো কেটে ফেলার জন্য চাষীদের বলা হয়েছে।’

এদিকে, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ২৮৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ উপজেলায় ৫টি করে ৭০টি, ২০০ ইউনিয়নে ১টি করে মোট ২০০টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি এবং নগরে আরও ৯টি আরবান ডিসপেনসারি টিম গঠন করে তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রতিটি টিমে ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট মিলিয়ে তিনজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। মোট ৮৫২ জন টিমের সদস্যকে সম্ভাব্য দুর্যোগসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, ৯ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ এবং সাড়ে ৪ লাখ ওরস্যালাইনও মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কক্ষের নম্বর- ০৩১-৬৩৪৮৪৩।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরবাসীর যেকোনো সহযোগিতায় প্রস্তুতি নিয়েছে নগর পুলিশও। নগরীর ১৬টি থানাকে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুর রহমান। থানার পাশাপাশি সিএমপি সদর দফতরেও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৬৭৯-১২৩৪৫৬, ০১৯৮০-৫০৫০৫০, ০১৭৩৩-২১৯১১৯, ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২,০৩১-৬৩০৩৭৫- এই নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ এই ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ঢাকায় আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন