বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

May 4, 2019 | 3:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্ক সংকেত আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের ভেতর থেকে পণ্য ডেলিভারিতেও আর কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে, সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ প্রবেশের মাধ্যমে জেটি সচল হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৪ মে) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণী ফরিদপুর ও তার আশপাশ থেকে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ এলাকায় অগ্রসর হয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই দেশের সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকা থেকে ৭ ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। নিম্নচাপের কারণে (৪ ও ৫ মে) দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি জারি করে। ওইদিন দুপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জেটি থেকে ২১টি জাহাজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্হিনোঙ্গরে। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ডে কনটেইনারসহ পণ্য উঠানামার সরঞ্জামগুলোকে বেঁধে রাখা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো.ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিপদ সংকেত নেমে যাবার পর আমাদের অ্যালার্টও অটোমেটিক্যালি আর নেই। আমরা আউটার থেকে জাহাজগুলোকে শিডিউল অনুযায়ী জেটিতে আসার জন্য বলেছি। সিএন্ডএফগুলোকে জেটি ও ইয়ার্ডে এসে তাদের পণ্য নিয়ে যেতে বলেছি। তবে, সাগর এখনও প্রচণ্ড উত্তাল। এই অবস্থায় রাতের আগে জেটিতে জাহাজ আসতে পারবে কি-না, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

সাগর উত্তাল থাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে বর্হিনোঙ্গর এবং দেশের অন্যান্য গন্তব্যে লাইটারেজ জাহাজ, ফিশিং ভ্যাসেলসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল এখনও শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

লাইটারেজ জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের যুগ্ম পরিচালক হাজী শফিক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সংকেত নেমে গেলেও সাগরের অবস্থা ভালো না। এত উত্তাল সাগরে জাহাজ চালাতে মাস্টাররা আগ্রহী নয়। সাগর আরেকটু শান্ত হোক। তখন জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’

শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭০টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ফণী’র কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খোলা পণ্য ও কনটেইনার নিয়ে আটকা পড়ে ৪০টি জাহাজ। বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এই জাহাজজট সামাল দিতে কমপক্ষে দুইমাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তোলার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। যেহেতু একটা গ্যাপ হয়ে গেছে, এটা পূরণ হতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।’

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন