বিজ্ঞাপন

ঢাবির ৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

May 9, 2019 | 10:21 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ব্যক্তিকে মারধর ও তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আগারগাঁওয়ের একটি স্টিল স্ট্রাকচার কোম্পানিতে কর্মরত প্রবীর (২৪) নামে এক ব্যক্তি এ অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তাকে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছে। আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রবীর গাঁজা খাচ্ছিলেন বলে তাকে মারধর করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রবীরের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মারধর করে তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন ওই তিন ঢাবি শিক্ষার্থী।

প্রবীর সারাবাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে মামার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় কয়েকজন এসে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। তিনি ক্যাম্পাসের কেউ নন— এ কথা জানালে তার কাছে থাকা ব্যাগ, মানিব্যাগ ও মোবাইল  নিয়ে নেন তারা। এসময় তার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের নম্বরও নেন তিন শিক্ষার্থী। পরে তারা প্রবীরকে মারধর করে তার মানিব্যাগ থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

প্রবীর জানান, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ওই তিন জনকে তিনি শনাক্ত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) আলী আব্বাস, জিয়া হলের উপ-দফতর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেল ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী রকি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্বাস সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি আজ সারাদিন বের হইনি।’ একজন পুলিশ সদস্য তাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখেছেন— এ তথ্য জানালে তিনি বলেন, ‘সেখানে ছিলাম। তবে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

অভিযুক্ত আকতারুল করিম রুবেল বলেন, ‘তাকে শুধু মারধর করা হয়েছে। ছিনতাই করা হয়নি।’ মারধর কেন করা হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার কাছে গাঁজা ছিল। সে গাঁজা খাচ্ছিল। এ জন্য তাকে মারধর করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চমক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা বিচারযোগ্য অপরাধ (কগনিজিবল অফেন্স)। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হবে। তবে বাদী যদি মনে করেন যে তিনি মামলা দায়ের করবেন না, সেক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন