বিজ্ঞাপন

চুয়েটে আন্দোলনের দায় নিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা, দুষছে ছাত্রলীগকে

June 26, 2019 | 12:44 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে বিক্ষোভ হলেও এর সঙ্গে মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই আছেন বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১১টা থেকে শ’খানেক ছাত্রছাত্রী চুয়েট ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। মিছিল-স্লোগান চলছে সকাল থেকেই।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত চুয়েটের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফাত হক নিশান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ১৫ দফা দাবিতে উপাচার্য স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে বলেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখব।’

আরও পড়ুন: ১৫ দফা দাবিতে চুয়েটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

বিজ্ঞাপন

১৫ দফা দাবিতে গত সোমবার (২৪ জুন) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে চুয়েটে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই মূলত এই আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। ১৫ দফা দাবি দিলেও মূলত ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করেই এই আন্দোলন করা হচ্ছে বলে তাদের ধারণা।

তবে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেই দাবি করে ইফাত হক নিশান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমরা যুক্ত হয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

যে দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন সেগুলো হলো: খাবারের মান উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান, বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, টার্ম পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালু, মানোন্নয়ন পরীক্ষা চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক নির্মাণ, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ বাতিল, খেলার মাঠের উন্নয়ন, নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ, আবাসিক হলের উন্নয়ন, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকীকরণ, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, ক্যাম্পাসে অযাচিত জঙ্গল পরিস্কার, চুয়েট লেকের সংস্কার ও উন্নয়ন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তাদের দাবিগুলো শুনে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আশা করি, এরপর আর তাদের আন্দোলন করতে হবে না।’

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন