বিজ্ঞাপন

বামদের হরতালে বিএনপির নৈতিক সমর্থন

July 5, 2019 | 6:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৭ জুলাইয়ের অর্ধবেলা হরতালে  নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (০৫ জুলাই) বিকেলে দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সমর্থনের কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মূল্যবৃদ্ধিতে সর্বস্তরের জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বামদলগুলো যে হরতাল আহবান করেছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা এতে নীতিগত সমর্থন দিচ্ছি।’

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলির ঘটনায় সম্প্রতি দেওয়া আদালতের রায়কে প্রতিহিংসা মূলক উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এ রায়ে বিএনপি বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এ রায়ে আমরা উব্দিগ্ন। সে সময় যে ঘটনা ঘটেছিল, তা আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পিত এবং সাজানো।’

‘এ ঘটনায় বিএনপি নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্তরা ন্যায় বিচার পায়নি। দলের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ আইনগত সহযোগিতা করা হবে’— জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার যে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের সভায় সে বিষয়টি নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বরগুনায় রিফাত হত্যার প্রধান আসামী নয়ন বন্ডকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও  মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। নয়ন বন্ডকে বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মূল হোতাদের আড়াল করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্র ভিত্তিক যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কতটা প্রহসন মূলক ছিল। ‘আমরা এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিশদ আকারে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব।’

যেসব ইউনিয়ন পরিষদে উপনির্বাচন হচ্ছে সেখানে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীরা অংশ নিলে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে যখন স্থানীয় নির্বাচন শুরু করা হয় তখন থেকে আমরা এর বিরোধীতা করেছিলাম। আমরা মনে করি, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য  উপযোগী নয়। তাই আমরা স্থানীয় নির্বাচনে কাউকে প্রতীক বরাদ্দ দেব না। তবে আমাদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বা কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাহলে সে অংশ নিতে পারেন।’

বিজ্ঞাপন

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান।

এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭ জুলাই হরতাল

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন