বিজ্ঞাপন

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

July 8, 2019 | 12:02 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে তাদের জন্য যেন একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসাবে পৃথিবী গ্রহণ করেছে। এই অর্জনটা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটার ট্রেনিং ইনিশিয়েটিভ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবি)’র উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সকল শর্ত পূরণ করেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার সাড়ে ৬ শতাংশের উপরে এবং গত অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে অধিক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এই শিল্পায়নের জন্য দেশি বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও বিনিয়োগে অংশীদার করা সম্ভব। ফলে, যত বেশি মানুষ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত হবে, আমাদের শিল্পায়ন তত বেশি ত্বরান্বিত হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থের যোগান দিতে আমাদের সরকার একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যখন বিনিয়োগ করতে যান বা খরচ করেন তখন অন্তত কিছু টাকা জমা রেখে তারপরে খরচ করবেন। কারণ, অনেক সময় দেখা যায় যে, যতটুকু পাওয়া গেল আরও বেশি পাওয়ার লোভে সবটুকুই খরচ করে ফেলে শেষে শূন্য হয়ে যেতে হয়। এজন্য যাই উপার্জন করবেন, কিছু হাতে রাখবেন বা জমা রাখবেন এবং কিছু খরচ করবেন। তাহলেই আমার মনে হয় স্থিতিশীল থাকবে আপনাদের আয়।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০২০-২১ সালে আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব। তাই আমরা ‘২০২০-২১’ সালকে মুজিব বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানেই থেমে যাইনি। আমরা আরও সামনে যেতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ২১০০ সালে বাংলাদেশ কিভাবে উন্নত হবে, সেটা লক্ষ্য রেখে আমরা ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

২০৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে। তখন তো আমি আর থাকব না। কারণ এখন তো অনেক বয়স হয়ে গেছে। এতোদিন বাঁচব না। কিন্তু আজকের যে নতুন প্রজন্ম বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে তাদের জন্য এই বাংলাদেশটা একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আমরা এই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

বিশ্বের সামনে উন্নয়নের একটা রোল মডেল হিসাবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবস্থা থেকে যেন আর কোনোমতেই পিছনে ফিরতে না হয়। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা যে স্বপ্ন সোনার বাংলা, সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব।

একে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে সমৃদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দেশের পুঁজিবাজারের ভীতকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস পাবেন। এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে দায়িত্বরত এডিবি প্রধানকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন