বিজ্ঞাপন

জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড

July 29, 2019 | 8:31 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার, খুলনার ত্রাস এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড নুর আলম ২০ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। তার সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ও অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরশাদ শিকদারের এই বডিগার্ড ১২ খুনের সহযোগী। তিনি ২০ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান আসামিকে মুক্তির আদেশ দেন।

এরশাদ শিকদার গ্রেফতার হওয়ার পর নুর আলম রাজসাক্ষী হন। তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে খুলনার জলিল টাওয়ার মালিকের ম্যানেজার খালিদ হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়। এভাবে একে একে ১১টি মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে কারাগার থেকেই এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নুর আলম। বাকি ছিল রাজধানীর লালবাগ থানার আজিজ অপহরণপূর্বক হত্যা মামলার সাক্ষ্য দেওয়া। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট মামলাটি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) মামলাটির ধার্য তারিখে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আইনজীবী মুনতাছির মাহমুদ রহমান কারামুক্তির আবেদন করেন। বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করে কারামুক্তির আদেশ দেন। শুনানিকালে নুর আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. আলমগীর হোসাইন তার সঙ্গে কথা বলেন।

আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নুল আলম রাজসাক্ষী হয়ে ২০ বছর ধরে জেলে আছেন জানার পর তাদের অফিসের মাধ্যমে জামিন করিয়েছেন। খুলনার একটি মামলা তার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট আছে বলে জানতে পেরেছি। সেখানকার আইনজীবীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার হলেই তিনি কারামুক্ত হবেন।’

বিজ্ঞাপন

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। নুর আলম কারাগারে থাকাবস্থায় তার ছেলে রাফী (১৮) মারা গেছেন। স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায়। বাড়িঘর জমিজমা এখন কিছুই নেই।’

প্রথম জীবনে নুর আলম জাহাজে চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে তিনি এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড হিসেবে যোগ দেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন