বিজ্ঞাপন

ভারত সীমান্ত দিয়ে আসছে মিয়ানমারের ইয়াবা: চট্টগ্রামের ডিআইজি

August 20, 2019 | 4:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অনড় অবস্থানের কারণে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা প্রবেশের পরিমাণ কমেছে। ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়ে বাংলাদেশে আসছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এই তথ্য দিয়ে ডিআইজি সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশম দেন। সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ রেঞ্জের ১১ জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এসপিদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সবাই যে যুদ্ধ করছেন, তার কিছুটা সুফল এসেছে। আপনারা জানেন, একসময় কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসত। সেখানে পুলিশের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা বছরখানেক ধরে চলছে, সেজন্য কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আর তেমনভাবে আসছে না।’

ইয়াবা এখন অন্যান্য সীমান্তে ছড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, ইয়াবা এখন কুমিল্লা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়ে ঢুকছে। ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘জেলার এসপিদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গির বিরুদ্ধে যেভাবে জয়ী হয়েছি, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অচিরেই জয়ী হতে পারব।’

কক্সবাজারের টেকনাফে গত প্রায় একবছরে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তঃত শ’খানেক লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইয়াবা পাচারকারী অথবা ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মিয়ানমারের সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তপথকে ইয়াবা আসার মূল রুট হিসেবে দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য।

এদিকে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাম্প্রতিক সময়ে গুজব প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে পুলিশ অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছে। মাত্র তিনদিনের চেষ্টায় সারাদেশের গুজব রটনাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গুজব প্রতিরোধ করা হয়েছে। এখন আর গুজব নেই।’

বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরিতেও পুলিশ ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি ডিআইজির। তিনি সব থানা কম্পাউন্ড, পুলিশ লাইন্সের আঙ্গিনা, ব্যারাক, মেস পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ সিভিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভায় জুলাই মাসে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, পরোয়ানা তামিল, আলোচিত মামলার রহস্য উদঘাটন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সাফল্যের জন্য ১৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিআইজি।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন