বিজ্ঞাপন

ছাত্রদলের জিএস হতে চান খালেদা জিয়ার ‘স্কুটি সঙ্গী’

August 20, 2019 | 7:49 pm

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গায়ে শার্ট, চোখে চশমা ও জিন্সের প্যান্ট। এই আধুনিক পোশাকে স্কুটি চেপে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ির ঠিক সামনে যাকে দেখা যেত সেই ডালিয়া রহমান এবার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন। ছাত্রদলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহিলা সম্পাদক হতে চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে বলেন, ‘আমার সাহস আছে। আছে এগিয়ে যাবার শক্তি। দুঃসময় পাড়ি দিতে নেতৃত্বে আসতে চাই। তৃণমূলের ভোটাররা আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন।’

ডালিয়া রহমান একা স্কুটি নিয়ে খালেদার গাড়িবহরে সঙ্গী হয়ে দৃষ্টি কেড়েছিলেন। খালেদা আদালতে যাওয়ার পথে তার ‘মোটরসাইকেল প্রটোকল রাইড’ দৃষ্টি কাড়তো সবার। গাড়ি বহরের ঠিক সামনে একাই থাকতেন ডালিয়া। লুকিং গ্লাসে পেছনে দেখতেন তার প্রিয় নেত্রীকে।

খালেদা জিয়া যতবার আদালতের পথে গুলশানের বাসা থেকে রওয়ানা দিয়েছেন, ততবার তার গাড়ির সামনে স্কুটি নিয়ে যুক্ত হয়েছেন বহরের একমাত্র নারী বাইকার ডালিয়া।

বিজ্ঞাপন

এমনকি বেশ কয়েকবার স্কুটি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু হাল ছাড়তেন না।

ডালিয়া রহমান জানান, এটা নতুন নয়, যতবার খালেদা জিয়া আদালতের পথে বের হয়েছেন, ততবার তিনি সঙ্গী। কিন্তু এখন দুঃখ লাগে, কারাগারে থাকায় খালেদার সঙ্গী হতে পারেন না তিনি। এ বেদনা তাকে প্রতিদিন পীড়িত করে। আর এ জন্যই খালেদার মুক্তির জন্য তিনি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হতে চান। সারাদেশের ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন চান।

বিজ্ঞাপন

ডালিয়া এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সহসম্পাদক ছিলেন। আইনে পড়াশোনা শেষ করেছেন সদ্য।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, এবার দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে বড় ধরনের চমক থাকবে। বিশেষ করে দলের নেতৃত্বে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। সেই ধরনের তারুণ্য খুঁজছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

দলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথমবারের মতো কোনো নারীকে নির্বাচন করে সেই চমক হবে কি না এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অতীতের প্রথা ভেঙে প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে ডালিয়া রহমান আসতে পারেন এমনটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়াদের মধ্য থেকে। ডালিয়া রহমান সাধারণ সম্পাদক হবেন কি না তা ঠিক হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের ভোটে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শীর্ষ দুই নেতা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ২২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

এর পর খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৭ আগস্ট। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ২৮ আগস্ট, প্রার্থীদের আপিলের নিষ্পত্তি ২৯ ও ৩০ আগস্ট। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ আগস্ট। ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রচারণার ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না।

তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করেন। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে টানা বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটান। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

সারাবাংলা/এসএ/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন