বিজ্ঞাপন

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী যেন বঙ্গবন্ধুর চোখেই বাংলাদেশের জন্ম’

August 27, 2019 | 4:12 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পড়লে তার চোখেই যেন বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস দেখতে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এই আয়োজনের তৃতীয় দিনে অংশগ্রহণ করে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে তারা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পড়ে প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করেন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন জিটিভি ও সারাবাংলা ডটনেট এর এডিটর-ইন-চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও কবি মিনার মনসুর।

বিজ্ঞাপন

সেলিনা হোসেন তার আলাপচারিতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় সমতায় বিশ্বাস করতেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের ভূমিকায় তিনি রেনুর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই বইটি যে তারই প্রেরণায় লেখা তিনি সেটি অকপটে স্বীকার করেছেন। এটি মানুষ হিসেবে তার অনেক বড় ধরনের উদারতা।

ভাষা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে হাঙ্গর নদী গ্রেনেড উপন্যাসের লেখিকা আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুকে কারাবরণ করতে হয়। ২১ তারিখে তিনি জেলে বন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখানেও তিনি আন্দোলনের খবর রেখেছেন। এসব কথা তিনি অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই চমৎকার ভাবে লিখে গেছেন। এই বইটি পড়লে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস জনকের চোখ দিয়ে দেখতে পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিভিন্ন ঘটনাবলী শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। বাঙালি জাতির মহান এই নেতাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করেন।

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন প্রেক্ষাপটের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসবের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদেরকে স্কুলপর্যায়ে কাজ করতে হবে। শিশুদেরকে দেশ নির্মাণের সুন্দর যাত্রায় সঙ্গী করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে সবাই বঙ্গবন্ধুর নাম বলছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে আমাদের সব সময়ের জন্য ধারণ করতে হবে। তার সংগ্রাম ও স্বপ্নকে বুঝতে হবে। তিনি আমাদেরকে ভালোবাসতেন। তিনি আমাদের জন্য বারবার কারাবরণ করেছেন। তবুও তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করেননি। তিনি বারবার বলেছেন, আমি তোমাদেরই লোক। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পাঠ করে আমরা আগামী দিনের সুন্দর মানুষ হতে চাই।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী এই পাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। স্কুলগুলো হচ্ছে– রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপ্রেইটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সারাবাংলা/টিএস/এনএইচ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন