বিজ্ঞাপন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এখন তারেক রহমান

February 8, 2018 | 9:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ায় বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এখন তারেক রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানানোর পর এক সাংবাদিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করেন বিএনপি এখন কীভাবে চলবে? খালেদা জিয়া কি দল পরিচালনায় কোনো নির্দেশনা দিয়ে গেছেন?

উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের গঠনতন্ত্রের দল পরিচালনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। সুতরাং সেই অনুযায়ী দল চলবে।
‘এ নিয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) মাথা ব্যথার কোনো কারণ নেই। দল তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

বিজ্ঞাপন

গঠনতন্ত্রে কী আছে- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গঠনতন্ত্র আপনি পড়ে নিন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, “দলের গঠনতন্ত্রে আছে, চেয়ারপারসন কেনো কারণে সাময়িকভাবে অনুপস্থিত থাকলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন। এটাই গঠনতন্ত্রের বিধান।”

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৮ ধারায় রয়েছে, চেয়ারম্যানের সাময়িক অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান।
জাতীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে তারেকের জন্য সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি সৃষ্টি করা হয়। তবে তিনি তার আগে থেকেই রয়েছেন বিদেশে। দুটি মামলায় দণ্ডিত তিনি।

বিজ্ঞাপন

ওয়ান ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর সংস্কারপন্থী বলে পরিচিত নেতারা এম সাইফুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছিলেন। এবার রায়ের আগে খালেদা জিয়া সেই ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে যান।

খালেদার মামলায় রায়ের আগে সম্প্রতি বিএনপি গঠনতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিএনপি বিষয়টি ইসিকে জানালেও নিজেরা তা খোলসা করেনি।

এই ধারায় রয়েছে, দণ্ডিত ব্যক্তি বিএনপির কোনো নেতা হতে পারবে না, সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পাবে না, এমপি হতে পারবে না; কেউ যদি দুর্নীতিবাজ হয় তাহলে বিএনপির সদস্য হতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি, এই রায় দেশের যে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট, তা আরও ঘনীভূত করবে এবং দেশের মানুষের এই বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা চলে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

‘গণবিচ্ছিন্ন সরকার’ খালেদা জিয়াকে আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে রাখবার জন্য ‘ভুয়া ও মিথ্যা নথি তৈরি করে’ এই সাজা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘এই রায়কে কেন্দ্র করে সরকার গত তিন দিন ধরে এক যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে। সরকারই গোটা পরিবেশকে অস্থিতিশীল করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করেছে।

‘সারা শহরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়েছে। তারা পুলিশের সহযোগিতায় আক্রমণও করেছে দেশনেত্রীর বহরের উপর’— বলেন ফখরুল।

খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ সারাদেশে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

সারাবাংলা/এজেড/এমএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন