বিজ্ঞাপন

অবহেলায় বন্ধ বিআরটিসির স্মার্ট কার্ড ব্যবহার

September 21, 2019 | 10:28 am

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিকেও ডিজিটালের আওতায় আনতে চেয়েছিল সরকার। এ কারণে যাত্রীদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছিল স্মার্ট কার্ড সিস্টেম। কিন্তু বিআরটিসির দায়িত্বহীনতা ও অবহেলায় চালুর এক বছরের মাথায় এই সেবা মুখ থুবড়ে পড়ে।

২০১৭ সালে বিআরটিসি বাসে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রীদের জন্য সহজ ও নিরাপদ ভাড়া পরিশোধ পদ্ধতি ছিল এই র‌্যাপিড পাস কার্ড বা স্মার্ট কার্ড। গণপরিবহনের জন্য সমন্বিত এই স্মার্ট কার্ড সবার প্রথমে সরকারি এই পরিবহন সংস্থাকেই দেওয়া হয়। বিআরটিসি মতিঝিল-আব্দুল্লাহপুর এবং গাবতলী-নবীনগর রুটের এসি বাসে এটি দেওয়া হয়েছিল। জাইকার কারিগরি সহায়তায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মাধ্যমে এটি চলতো।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে অনেকেই র‌্যাপিড পাস কার্ড কিনে নিলেও বিআরটিসি বাসে উঠে দেখতে পান মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এই অবস্থায় র‌্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহার প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। তবে চলতি বছরের প্রথম দিকে বিআরটিসিকে একটি চিঠির মাধ্যমে এর ব্যবহার বাড়াতে বলে ডিটিসিএ। এতেও সায় দেয়নি সংস্থাটি। অথচ নতুন এই কার্ডের ব্যবহার করতে বহু যাত্রী টাকা রিচার্জ করে ফেলে রেখেছেন। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় হারিয়ে গেছে অনেকের কার্ড। সেসব কার্ডে অনেকের টাকা লোড করে রাখা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী এসব কার্ডে কমপক্ষে ৪শ টাকা থাকতে হয়।

বিজ্ঞাপন

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, চালুর পর প্রায় ৮ মাস এটি ভালই চলছিলো। তবে গত বছরের শেষ দিকে এটি কমতে থাকে। বিআরটিসির তখনকার চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া এটি সচল রাখতে কোনো উদ্যোগ নেননি।

দেখভালের অভাবে বিআরটিসির এসি বাসে কার্ডের টিওম মেশিন নষ্ট ও ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। ডিটিসিএ’র একজন কর্মকর্তা জানান, আব্দুল্লাহপুর-মতিঝিল রুটে ২০১৭ সালের ১৬ মে চালু হয়েছিল র‌্যাপিড পাস কার্ড। শুরুতে ভালো চললেও পরের বছর (২০১৮) বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়ার সময়ে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।

এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়াকে বোঝাতে পারেনি ডিটিসিএ। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে র‌্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় নভেম্বরে তা বন্ধ হয়ে যায়। বহু গ্রাহক কার্ডে টাকা ভরে সে অর্থ ফেরত পাননি। আর বাসে মেশিন বন্ধ থাকায় ব্যবহারেরও সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

ডিটিসিএ আরও জানায়, একই সময় বিআরটিসির মতিঝিল-নবীনগর রুটে র‌্যাপিড পাস কার্ড চালুর জন্য পাস মেশিন দেওয়া হলেও একদিনের জন্য বাসে তা সেট করেনি বিআরটিসি। বিআরটিসি বাসে ই-টিকিট হিসেবে প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ টিকিট বিক্রি হয়েছিল।

ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘নগদ অর্থের মোহের কারণে বিআরটিসিতে এর ব্যবহার বেড়েছিল। সাবেক বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সময়ে এটি শুরু হলেও এর ব্যবহার কমতে কমতে এখন বন্ধ হয়ে আছে। নতুন বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিগগিরই তারা এটি নিয়ে বসবেন। বিআরটিসির সব বাসে স্মার্ট কার্ড চালু করার ইচ্ছে রয়েছে ডিটিসিএ-এর।

সারাবাংলা/এসএ/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন