December 19, 2019 | 7:42 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজাকারের তালিকা নামে বিতর্কিত তালিকা প্রণয়ন এবং ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্থান পাওয়ার ঘটনায় প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে (১৯ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বিভাগীয় তদন্ত হবে। কিন্তু আমরা কোনো প্রশাসনিক তদন্ত মানব না। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত করতে হবে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় অজ্ঞানতাবশত কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতাবিরোধীর নাম বাদ পড়তে পারে, কিন্তু রাজাকারের তালিকায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের কারও নাম যুক্ত হওয়া শুধু ভুল নয়, গুরুতর অপরাধ বলে আমরা মনে করি। এটা শুধু নির্দিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার অপমান নয়, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক গোটা জাতির অপমান, যা বিজয়ের মাসেই ঘটেছে। এ ধরনের অপরাধের জন্য কারা দায়ী, তা তদন্ত করার জন্য আমরা বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতায় গেলে আমলানির্ভর হয়ে পড়েন। এই আমলানির্ভরতার কারণেই এমন বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গ্রন্থে কয়েক হাজার রাজাকারের নাম রয়েছে। তারপরও এত ত্রুটিপূর্ণ একটি তালিকা কীভাবে হলো, সেটি একটি রহস্য। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার না হলে এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-শিবির চক্র সক্রিয়। এদের চিহ্নিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর কন্যা জানা নাজলী, মির্জা আবদুল লতিফের কন্যা সেলিনা মির্জা মুক্তি, রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুস সালামের কন্যা জুলফিয়া বেগম বুলুসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর