বিজ্ঞাপন

‘শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই’

January 1, 2020 | 5:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঢাকার দুই সিটিতে এবং চট্টগ্রামে একটি শূন্য আসনে ‘শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের’ আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি আরও বলেন, কারও আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন। নগরীর লাভ লেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসেছিলেন সিইসি।

ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিশ্বাস করি যে, শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সঠিক নির্বাচন হবে। সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। এখানে কারও আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিভিন্ন মহলের আপত্তি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আর বিবেচনার সুযোগ নেই। আমরা ইভিএমেই নির্বাচন করব। কারণ আমরা দেখেছি যে, ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করলে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। আমরা এতদিন ইভিএমে যেসব নির্বাচন করেছি, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া গেছে। সেজন্য ইভিএমের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’

বিজ্ঞাপন

সিইসি জানান, মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতারের প্রসঙ্গও আলোচনায় এসেছে। এসময় তিনি ধৈর্য সহকারে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। জাতীয় পরিচয়পত্র সাবধানতার সঙ্গে করার পরামর্শ দেন।

রোহিঙ্গাদের ভোটার করা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অধিকাংশই ছোট স্টাফ, অধিকাংশই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া স্টাফ। তারা এখান থেকে ল্যাপটপ নিয়ে গিয়ে অবৈধ কাজটা করত। আট থেকে নয় জন শনাক্ত হয়েছে, তারা গ্রেফতার হয়েছে। আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটার বিষয়ে বক্তব্য হচ্ছে- কর্মকর্তারা কেউ সার্ভারের সঙ্গে জড়িত, এমন তথ্য যারা তদন্ত করছেন তাদের কেউ পায়নি।’

‘এরপরও তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ বলেন সিইসি।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালো আছে। এখন পর্যন্ত যারা প্রার্থী ও তাদের সমর্থক আছেন, তারা নির্বাচনি আচরণবিধি বর্হিভূত কোনো কাজ করেননি। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন তারা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন। ইভিএমে নির্বাচন করতে তারা প্রস্তুত। ইভিএমে ফলাফল তারা একঘণ্টার মধ্যে দিতে পারবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য আগামী মার্চ মাসকে উপযুক্ত সময় ভাবছেন সিইসি। তবে সঠিক সময় কমিশনের বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

‘সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর যেদিন প্রথম সভা হয়, সেদিন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে হলেও চট্টগ্রামে এই সভাটা বিলম্বে হয়েছে। সেজন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৮০ দিন গণনা শুরু হবে। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমার মনে হয় মার্চ মাসই হবে উপযুক্ত সময়। যেহেতু এপ্রিল মাসে হবে রমজান, মার্চ মাসে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কোনো প্রোগ্রাম নেই।’ বলেন সিইসি।

সভায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ সংশ্লিষ্টরা ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন