বিজ্ঞাপন

প্রতীক্ষা বসন্ত আর ভালোবাসার মিশেলে ছুটির শুক্রবারের

February 11, 2020 | 9:26 pm

পার্থ সনজয়

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী প্রান্তে প্রবেশের জন্য টিএসসিতেই রয়েছে একটি প্রবেশদ্বার। তার পাশেই সারি সারি হুইল চেয়ার। অশীতিপর সাইফুল আলম সেই হুইল চেয়ারে চড়েই প্রবেশ করলেন মেলায়।

বিজ্ঞাপন

উদ্যোগটা বাংলা একাডেমি আর সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের। গেল কয়েক মেলাতেই মানবিক এই সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। এবার বইমেলা উপলক্ষে ১৫টি হুইল চেয়ার কাজ করছে। প্রতিদিনই প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন হুইল চেয়ার সেবা নিয়ে মেলায় ঘুরছেন। এবারের মেলায় হুইল চেয়ার সেবার প্রধান সমন্বয়কের কাজ করছেন ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের চতুর্থ বষের্র শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা এবারের মেলায় নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে। তারই একটি বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’। দুর্লভ সব আলোকচিত্রের সমাহারে এই কর্নারে পাওয়া যাবে ভিন্ন এক বঙ্গবন্ধুকে।

বিজ্ঞাপন

এমনিতে এক-তৃতীয়াংশ সময় পেরিয়েছে অমর একুশে বইমেলা। দশম দিনেও খুব একটা পাঠক ভিড় চোখে পড়েনি। কথাপ্রকাশের সত্ত্বাধিকারী জসীম আহমেদ বললেন, শুক্রবার থেকেই মেলা জমে উঠবে। তার মতো প্রায় সব প্রকাশকই প্রত্যাশা করছেন, ছুটির শুক্রবারে বসন্ত আর ভালোবাসার দিনেই মেলা পূর্ণ রূপ পাবে।

বিজ্ঞাপন

মূল মঞ্চে এদিন আলোচনার বিষয় ছিল বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদ আলী খানের ‘ডাকটিকেট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু’ বইটি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আতাউর রহমান। সভাপতিত্বে ছিলেন ফজলে কবির। লেখককুঞ্জে চারটি সেশনে এদিন চার জন লেখক মুখোমুখি হয়েছেন পাঠকের।

দশম দিনে মেলায় নতুন বই এলো ১৫২টি। ১০ দিনে এলো ১২৮৮টি নতুন বই। এর মধ্যে পাঞ্জেরি প্রকাশ করেছে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের ‘ত্রয়ী উপন্যাস’, কথাপ্রকাশ এনেছে উপমা মাহবুবের ‘মননকথা ভ্রমণগাথা’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন