বিজ্ঞাপন

ফের চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ৫৭

March 5, 2020 | 9:30 am

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশি একটি ছাত্রাবাসের লাইট ভেঙে অন্ধকার করে দেওয়া হয়। এসময় অন্তত ৫৭ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের কর্মীরা এই সংঘাতে জড়ান।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও পুলিশ জানিয়েছে, সংঘাতের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের লাইট ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে অন্ধকার হয়ে যায় ওই এলাকা। রাত পৌনে ২টার দিকে আলাওল হল ও স্যার এ এফ রহমান হলের দিক থেকে ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এর আগে, সোমবার (২ মার্চ) রাতে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর রুমে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘কনকর্ড’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজয় গ্রুপের বোরহান আবির হাসান নামের এক কর্মীকে মারধর করেন কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

এর জের ধরে বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় দুইজন আহত হন।

এই ঘটনার জের ধরে বুধবার গভীর রাতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা স্যার এ এফ রহমান হলে থাকা বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ পাশাপাশি হলের দরজা জানালা ভাংচুর করা হয় বলেও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান।

এই বিষয়ে জানতে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নামধারী কিছু অছাত্র বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয়ের গ্রুপের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের বের করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করলেও ব্যবস্থা করে দেয়নি। রাতে আমাদের কর্মীরা হলে উঠতে গেলে হামলা চালায় বিজয়ের কর্মীরা।’

বিজ্ঞাপন

বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন,‘শিবির স্টাইলে ইকবাল টিপুর নেতৃত্বে নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি

তবে এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিক্সটি নাইন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিজয় গ্রুপ সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/এসএমএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন