বিজ্ঞাপন

‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

March 11, 2020 | 8:03 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিন্যাস করার পর এই অনুষ্ঠান কেমন হবে, এবার তা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। জানানো হয়েছে, ভিন্নমাত্রার এই আয়োজন হবে সীমিত পরিসরে। তবে তা ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে আহ্বায়ক করে গঠিত অনুষ্ঠান কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সভা শেষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ সব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

কামাল আবদুল নাসের বলেন, ‘মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরুর পর সমগ্র জাতির মাঝে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পর্কে উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছিল। জনগণের সম্পৃক্ততার আগ্রহকে বিবেচনায় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভিন্নমাত্রায় পরিবেশিত হবে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠান না হলেও ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিকল্পনা ঠিক রাখা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ব্যাপ্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ধারণ করে অথবা লাইভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে প্রচার করা হবে।’

ড. কামাল বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী, জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হওয়ায় শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়া শত শিল্পীর পরিবেশনায় যন্ত্রসংগীত, মুজিববর্ষের থিম সং, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে তুলে ধরে একটি থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স ও বিশ্বখ্যাত কোরিওগ্রাফার আকরাম খানের পরিবেশনাও থাকবে এই প্রোগ্রামে।’ অনুষ্ঠানটি প্রচারের সময় পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।

অনুষ্ঠান কমিটির বৈঠকে ১৭ মার্চ রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ আতশবাজির মাধ্যমে স্মরণের পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও দিবসটি স্মরণে আলোকসজ্জা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে আনন্দ অনুষ্ঠান এবং মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং কমিটির অন্য সদস্যরা।

এর আগে, জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। একলাখ মানুষের উপস্থিতিতে সেই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনার পরিকল্পনা হয়েছিল। তবে গত রোববার (৮ মার্চ) দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা দেয় জাতীয় কমিটি।

ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় কমিটির এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

রাতে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৭ মার্চ ‍মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনকল্যাণ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। জন্মশতবার্ষিকীর সামগ্রিক আয়োজন পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন