বিজ্ঞাপন

সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করার আশাবাদ কাদেরের

March 20, 2020 | 12:28 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাস ঘিরে উদ্ভূত সংকট মোকাবিলা করে পরাজিত করার আশাবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরাজিত করব। করোনাভাইরাস যত বড়ই শত্রু হোক না কেন, আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারব।’

শুক্রবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানে সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে দলের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিতে আছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে, একজন মারা গেছেন। তারপরও বাংলাদেশ ঝুঁকিতে আছে।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বের একটি সমস্যা। চীন থেকে উৎপন্ন হয় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাস থেকে আমরা যে মুক্ত হতে পারব, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রয়াসের করোনাভাইরাস যত বড়ই শত্রু হোক না কেন, আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারব।

বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচন পেছানোর আবেদন করেছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কখন কী বলে, আর কখন কী করে, বোঝা মুশকিল। তারা সব কিছুতেই রাজনীতি খোঁজে। কিন্তু উপনির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা যদি নির্বাচন পেছাতে চায়, এটা তাদের বিষয়। ইসিকে আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের স্বাধীনতা আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির আবেদন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা আমি জানি না।

বিএনপির অভিযোগ, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন চালাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ওপর কিভাবে, কোন নির্যাতন হলো, তা তো দেখি না, জানি না। অযথাই অভিযোগ দেওয়া তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপি অভ্যাসের কারণে এই অভিযোগ করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, তিনি ছিলেন একজন বরেণ্য সাহসী রাজনীতিবিদ। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। দলের সংকটের সময় সব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে পরিচালিত করেছেন। বিশেষ করে আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এটা অবিস্মরণীয়।

তিনি আরও বলেন, দলের দুঃসময়ে, সংকটের সময় তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। তখন তার বয়স ছিল অনেক বেশি। তারপরও বয়সের বাধা অতিক্রম করে দলের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন। জিল্লুর রহমান ছিলেন দলের অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণার উৎস।

এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন