বিজ্ঞাপন

মাস ব্যবধানে রফতানি বেড়েছে ৩ গুণ

June 8, 2020 | 9:59 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের মে মাসে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম, এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। তবে আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে রফতানি আয় বেড়েছে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন গুণে। ওই মাসে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ সময় আয় হয় মাত্র ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে এই আয় ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের এই সময় আয় ছিল ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুন থেকে মে মাস পর্যন্ত গত ১১ মাসে রফতানি কম হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ। এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ২৫.৫ শতাংশ। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৫৫ কোটি ডলার। রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৫ কোটি ডলারের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার।

বিজ্ঞাপন

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১১ মাসে তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ১৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট ২ হাজার ৫৭০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার। টেরিটাওয়েলসহ পোশাক খাতের সমজাতীয় পণ্য মিলে মোট রফতানিতে পোশাক খাতের অবদান ৮৬ শতাংশ। এ খাতের উদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে মে মাসে ওভেন ও নিট খাতে পোশাক রফতানি কমেছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে লক্ষ্যমাত্রাও।

জানা গেছে, অন্যান্য বড় পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ২১ শতাংশের বেশি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ২৬ শতাংশ। রফতানি হয়েছে মাত্র ৭৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের পণ্য। গত বছরের এই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। চিংড়িসহ হিমায়িত মাছের রফতানি কম হয়েছে ১০ শতাংশ। রফতানি হয়েছে ৪২ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য। বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্যের রফতানি কম হয়েছে ৮ শতাংশের বেশি। ৭৮ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি হয়েছে গত ১১ মাসে।

করোনায় ছোট-বড় সব পণ্যেরই রফতানি প্রবাহের একই চিত্র। ব্যতিক্রম শুধু ওষুধ, আসবাব ও পাট। করোনাকালেও কাঁচা পাটসহ সব ধরনের পাটপণ্যের রফতানি বেড়েছে। পাট ও পাটপণ্যের রফতানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। রফতানি হয়েছে প্রায় ৮১ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের পণ্য। একইভাবে ওষুধের রফতানি বেড়েছে ১ শতাংশের কিছু কম। যদিও লক্ষ্যমাত্রা থেকে রফতানি আয় ২১ শতাংশ কমেছে। মোট ১২ কোটি ডলারের ওষুধ রফতানি হয়েছে এ সময়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন