বিজ্ঞাপন

টাকা খরচ করার পরই তাহলে বাজেট দিয়েন: অর্থমন্ত্রীকে এমপি হারুন

June 15, 2020 | 6:59 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেই প্রণয়ন করা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, মানুষকে বাঁচানোর লক্ষ্যে প্রণীত এই বাজেটে আয়ের কথা না ভেবেই খরচের হিসাব করা হয়েছে। তার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি অর্থমন্ত্রীকে খানিকটা ‘খোঁচা’ দিয়েই বলেছেন, তাহলে বাজেট দেওয়ার দরকার কী ছিল? টাকা খরচ করে তারপরেই না হয় বাজেট দিতেন!

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৫ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএপি’র এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, ২০২৯-২০২০ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়-ব্যয় প্রায় সমান সমান। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকে ঋণের লক্ষমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার কোটি টাকা, সেখানে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ নিয়েছে। বৈদেশিক সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা, সেখানে পেয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা কিভাবে সমন্বয় হবে, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

বাজেটে বায়-ব্যয় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে এরকম বক্তব্য আসতে পারে না। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগে খরচ করব, টাকা কোথা থেকে আসবে জানি না। এটা তিনি বলতে পারেন না। বাজেট কী জন্য তাহলে? বাজেট দিয়েন না, টাকা খরচ করতে থাকেন। টাকা খরচ করার পর বাজেট দিয়েন।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসকে আল্লাহ’র ‘আজাব’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে সবাইকে ক্ষমা চেয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে এই সংসদে এসেছি। গতকাল দু’জন সদস্য ইন্তেকাল করেছেন। সারাদেশ, সারাবিশ্বকে নিঃসন্দেহে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এসময় তিনি সব প্রচার মাধ্যমে বেশি বেশি করে সূরা বাকারার ১৫৫ ও ১৫৬ নম্বর আয়াত প্রচারের অনুরোধ জানান। এসময় তিনি মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ জানান।

স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর। একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে। গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গত ১২ বছর ধরে ভারত নির্ভর, ভারতমুখী হয়ে গেছে। গত ১০ বছরর প্রায় কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারত গেছে। কাজেই সরকারি উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এই খাতে যেসব বরাদ্দ বাড়ানো দরকার, সেদিকে নজর দিতে হবে।

হারুনুর রশিদ আরও বলেন, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট অনুমোদন দিতে পারলে উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা ছড়িয়ে দিতে পারতাম। গণস্বাস্থ্যের মতো প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের কিট উদ্ভাবন করতে পারে, বিএসএমএমইউয়ের অভিজ্ঞ চিকিৎসক-গবেষকদের দিয়ে কী কাজ হচ্ছে? এমপি-মন্ত্রীরা কোভিড আক্রান্ত হলে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন না, সিএমএইচ অথবা প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন। এটাই বাস্তবতা।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি অল্প পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে অভিযোগ করেন। জেলাগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহের ১০ দিন পর ফল জানানো হচ্ছে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন