বিজ্ঞাপন

বড় সুযোগ আসতে পারে, কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

July 23, 2020 | 4:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জুম প্ল্যাটফর্মে ‘কোভিড-১৯ এন্ড বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগানোর সময় এসছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে অনেক কিছু হবে। চায়না এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। চায়না থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাপান। এইসব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।’

কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে রফতানি বাজারে শুধু তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে আমাদের চলবে না। দেশের আইটি, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জনিয়ারিং, সিরামিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রী রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সরকার আন্তরিকতার সাথে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে, সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্ব একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে।’

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)‘র প্রেসিডেন্ট সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের গেস্ট অফ অনার বিল্ড-এর চেয়ারম্যান আবুল কাশের খান এবং ডিসিসিআই‘র প্রেসিডেন্ট সামস মাহমুদ, বক্তব্য রাখেন- দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবু ইউসুফ।

বিজ্ঞাপন

ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সামস মাহমুদ বলেন, ‘করোনাসংকটের মাঝে কিছু কিছু নতুন সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে পলিসি চূড়ান্ত করে রফতানি খাতে বহুমুখীকরণ করতে হবে।

আবুল কাসেম খান বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে। বাংলাদেশ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। সেজন্য আমাদের ডু-ইন বিজনেস সূচকে বাংলাদেশকে আরও উন্নতি করতে হবে। কারণ সুযোগ বারবার আসে না। কোভিড-১৯ বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতিকে অনেক বড় ক্ষতি করেছে। পাশাপাশি এই সময়ে কিছু কিছু নতুন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।’

ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনার শুরুতে গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে বাংলাদেশের রফতানি খাতে বড় ধরনরে ধস নামলেও জুন মাসে রফতানি কিছুটা বেড়েছে। ফলে এটা বলা যায় কোভিড-১৯ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে খারাপ সময়টা বাংলাদেশ পার করে এসেছে বলা যায়।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন