বিজ্ঞাপন

বিএনপি’র বক্তব্য খুন ও খুনিদের পক্ষে: তথ্যমন্ত্রী

August 19, 2020 | 9:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা খুন ও খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত সেটা আজকে দিবালোকের মতো স্পষ্ট।  আপনারা জানেন কর্ণেল ফারুক-রশীদ বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তারা যখন এই ষড়যন্ত্র শুরু করে তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিলেন এবং জিয়া তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলে। জিয়ার বক্তব্যটা এমন ছিল—আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার, আমি পর্দার অন্তরালে থাকবো, তোমরা এগিয়ে যাও। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ক্যাপ্টেন মাজেদ, যার দণ্ড কিছুদিন আগে কার্যকর করা হয়েছে, তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে জিয়াউর রহমান কীভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা স্পষ্ট হয়েছে।

জিয়াউর রহমানের কাছে কর্ণেল বেগের চিঠির কপি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন রণাঙ্গণে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তখন তার কাছে কর্ণেল বেগ চিঠি লিখেছেন – ‘তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী-পুত্রদের জন্য চিন্তা করো না, তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য পুরস্কৃত হবে’। আমরা পরবর্তীতে দেখতে পেয়েছি সেই কর্ণেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিল।

জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাকের প্রধান সহযোগী না হতেন, তাহলে হত্যাকাণ্ডের পর কেন তিনি জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান বানাবেন -প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের তিনি পুরস্কৃত করে বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়েছিলেন, ’৭৯ সালের পার্লামেন্টে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিলের, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়। এসকল ঘটনা প্রবাহই সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজ যখন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে গেছে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর রিজভী আহমেদসহ বিএনপি আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে খুনি এবং খুনের পক্ষে। আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুনি এবং খুনের পক্ষে অবস্থান না নেন।

উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে নেমেছে’। সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর চক্রান্ত চলছে’ — এই দুজনের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকাটি স্পষ্ট, ইতিহাস এর সাক্ষী।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পী এবং কলাকুশলীদের করোনাকালে সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কলাকুশলী বলতে যে মাইকম্যান তাকেও চিন্তায় রাখতে হবে, মঞ্চ এবং টেলিভিশনের পর্দার পেছনে যে কাজ করে তার কথাও চিন্তা করতে হবে। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। সংগঠনগুলোর কাছ থেকে চাহিদা মোতাবেক তালিকা পেলেই আমরা সহায়তার ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছি। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় কিভাবে টেলিভিশন শিল্পীসহ সকল শিল্পীর কল্যাণ সাধন করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

সভায় অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, সংঘের সাবেক সভাপতি ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শহীদুল আলম সাচ্চুসহ শিল্পী প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভার শুরুতেই মন্ত্রী ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

সারাবাংলা/জেআর/টিসি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন