বিজ্ঞাপন

বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২১ আগস্টের ঘটনা: গয়েশ্বর

August 21, 2020 | 8:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনাটা শেখ হাসিনাকে মারার চক্রান্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না। সেদিনের সেই চক্রান্ত ছিলো জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বের কবর দেওয়া। ২১ আগস্টের ঘটনাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিএনপির ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার প্রকৃত দোষীরা এখনো বেঁচে আছে, নিরাপদে বেঁচে আছে এবং ভালো আছে। তারা দেশে আছে, দেশের বাইরেও আছে। সেটা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কারও অজানা থাকার কোনো কারণ নাই। দেশি-বিদেশি গোয়েন্দারা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করে তাহলে এটা তাদের নখদর্পণে থাকার কথা। যেহেতু এটা একটি রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ব্যাপার, সেই কারণে আসল ঘটনা কখনো আলোর মুখ দেখবে না, আপনারা-আমরা জানবো না।’

বিজ্ঞাপন

গয়েশ্বর বলেন, “এই যে রং অ্যাপ্লিকেশন পলিটিক্সে মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দেওয়া, দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক রাজনীতিকে দুর্ঘটনায় ফেলা। ২১ আগস্ট এরকম ঘটনা ১/১১‘র কোনো রি-এরেজমেন্ট হতে পারে। এই যে ১/১১টা আসছে। এই ১/১১’তে কে ভিকটিম হয়েছে? বিএনপি হয়েছে, খালেদা জিয়া হয়েছে। ১/১১ তে লাভবান হয়েছে কে? হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। তাহলে ডাউট অব দ্যা বেনিফিশারি যদি বলা হয় ১/১১ এর মাধ্যমে বেনিফিটেড হয়েছে বিএনপির অতি মুখোমুখি প্রতিপক্ষ।”

তিনি বলেন, “২১ আগস্টের ঘটনার দিনটিকে কোনো ভালো দিন আমি বলি না। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই কাম্য নয়। দুইশ’র উপরে আসন নিয়ে তখন বিএনপি ক্ষমতায়। একটা স্টেবল গভার্মেন্ট কখনোই চাইবে না আনস্টেবল হতে। ২১ আগস্টের ঘটনাটা দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রকে আনস্টেবল করা, উসকানি দেওয়া অর্থাৎ সরকারকে বিব্রত করার জন্য ঘটানো হয়েছিল।”

‘এটা যদি প্রতিষ্ঠিত হতো, এটা যদি জনগণ বিশ্বাস করতে পারতো যে, এটা সরকার করেছে অথবা খালেদা জিয়া করেছে বা তারেক রহমান করেছে। তাহলে সেদিন সরকার থাকার কথা না। তখন একটা পাতা নড়ে নাই, একটা আওয়াজ হয় নাই। অর্থাৎ জনগণ বুঝতে পেরেছে যে, এই অপকর্ম সরকার করতে পারে না, এটা একটা রেন্সপনসেবল গভর্মেন্ট কোনো মতেই করতে পারে না’— বলেন গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকারের ভুল-ভ্রান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মনের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সরকারে থাকতে ভুল-ভ্রান্তি আমাদের কিছু ছিলো। যার খেসারত আজকে জনগণ দিচ্ছে, আজকে আমরা দিচ্ছি, খেসারত তারেক রহমান দিচ্ছেন, খেসারত খালেদা জিয়া দিচ্ছেন। যারা অপকর্ম করেছে তারা খেসারত দেয় নাই, তারা কিন্তু আমাদের আশপাশে আরও বলীয়ান হওয়ার চেষ্টা করছে।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে/ আরো জোরে-এসব আপনাদের শ্লোগানের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শগত কী তথ্য জনগণের কাছে আপনারা দেন। আপনাদের শ্লোগানে তো জনগণের ভাষা নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি কারও নামের আগে পরে যদি কোনো বিশেষণ লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সে নেতা হয়ে গেল? না। তার কর্মে নেতার চেহারা জনগণের কাছে ফুটে উঠবে। যে নেতার নেতৃত্বে আমরা যারা কাজ করি ভালো কাজের ফসল তিনি পাবেন আবার তাদের মন্দ কাজের তিরস্কারও তাকে পেতে হবে।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত নেতার একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন