বিজ্ঞাপন

বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকের নামে মামলা

August 31, 2020 | 10:44 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামের এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরখান থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রামভিত্তিক খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্সের পরিচালক। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজেরও পরিচালক পদে আছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ আগস্ট) রাতে ঘটনার শিকার নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন।

ঘটনার শিকার নারী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। ঢাকায় একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে চাকরিও করেছেন। এছাড়া ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেও তার পরিচিতি আছে।

ওসি হেলাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিবার ধর্ষণ করেছেন বলে একজন নারী অভিযোগ করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা করেছেন তিনি। আমরা মামলা গ্রহণ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের বিষয়টি চলমান রেখেছি।’

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একবছর আগে ঢাকায় বসবাসরত ওই নারীর সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর দেখা করেন তারা। তাকে ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকার একটি রিসোর্টে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তানভীর। এরপর থেকে তাকে বারবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আরও কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন তানভীর।

ধীরে ধীরে তানভীরের আচরণ পরিবর্তন হতে থাকায় গত ২৫ আগস্ট ওই নারী চট্টগ্রামে যান। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছে। এরপর ২৭ আগস্ট ওই নারী নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার মিরিন্ডা লেনে তানভীরের বাসায় যান। কিন্তু সেখানে তানভীরের পরিবারের সদস্যদের কাছে দুর্ব্যবহারের শিকার হন। শনিবার (২৯ আগস্ট) তিনি আবারও ওই বাসায় গিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হন। এসময় তিনি বাসার সামনে রাস্তায় নিজের শরীরে ব্লেড দিয়ে জখম করতে শুরু করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সংশ্লিষ্ট জোনের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি মেয়ে ব্লেড দিয়ে নিজের শরীরের শিরায় আঘাত করছেন— এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তিনি আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ করেন, তাতে দেখা যায়, ঘটনাস্থল ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকায়। এজন্য আমরা তাকে ঢাকায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।’

বিজ্ঞাপন

ঘটনার শিকার নারী এবং অভিযুক্ত সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানতে পারেনি সারাবাংলা।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন